জেলা প্রতিনিধি
২৬ জুন ২০২৩, ০৮:৩২ এএম
পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ইতোমধ্যে ভোলায় ছোট, বড় আর মাঝারি গরুর সমাহারের মধ্য দিয়ে জমতে শুরু করেছে কোরবানির পশুরহাট।
রোববার (২৫ জুন) ভোলার বেশ কয়েকটি পশুরহাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটে পর্যাপ্ত গরু থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। অনেকে গরু, ছাগল দাম ধর করে চলে যাচ্ছে। ক্রেতারা জানায়, আগের চেয়ে অনেকটা দাম বেশি চাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। তবে কাঙ্খিত ক্রেতার দেখা না পেয়ে অনেকেই হতাশ হয়ে গরু নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে দেশে পর্যাপ্ত গরু আছে দাবি করে বাইরে থেকে গরু আমদানি না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্যাপারী ও খামারিরা।
ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবছর কোরবানির জন্য জেলার ৭ উপজেলায় সম্ভাব্য প্রয়োজন ধরা হয়েছে ৮৪ হাজার ৪০০ পশু। বিপরীতে মজুদ রয়েছে ৯০ হাজার ৯৬টি পশু। এর মধ্যে ৫৫ হাজার ৫৮টি গরু, ছাগল ২৬ হাজার ২০৫টি, মহিষ ৫ হাজার ৫৬০টি ও ভেড়া রয়েছে ৩ হাজার ২৭৩টি। জেলার ২ হাজার ৮৭৩টি খামারে ৩৭ হাজার পশু প্রস্তুত রয়েছে। বাকিগুলো পারিবারিকভাবে পালন করা হচ্ছে। কোরবানির হাটগুলো মনিটরিং করার জন্য গঠন করা হয়েছে ২১ টি মেডিকেল ভেটেরিনারি টিম।
ভোলা সদর উপজেলা দক্ষিণ চরপাতা গ্রামের খামারি তছির বলেন, আমার খামারের ৮টি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত। আজ ৩টি গরু ইলিশা হাটে বিক্রি করতে আনছি। এখানে বড় বড় পশুর হাট বসলেও ক্রেতাদের উপস্থিতি কম। ফলে বাধ্য হয়ে গরু ফিরিয়ে আনতে হচ্ছে।
হাটে গরু কিনতে আসা শহিদুল ইসলাম বলেন, কোরবানির জন্য মাঝারি গরু খুঁজছি। এ বছর গরু প্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দাম বেশি মনে হচ্ছে। যেহেতু কোরবানি দিতে হবে তাই, বেশি দাম দিয়েই গরু কিনতে হবে। তারপরও হাটে এসে দেখছি একটু কমে পেলে কিনে নেব।
আরেক ক্রেতা বলেন, হাটে কোরবানির গরুর সংখ্যা অনেক। পছন্দমতো সাধ্যের মধ্যে তিনি গরু খুঁজছেন।
রাজাপুর গ্রামের কৃষক লোকমান বলেন, বিক্রির জন্য গরু হাটে নিয়ে যাই। দাম কম হওয়ায় আবার ফিরিয়ে আনি। গত ৩দিন ধরে এভাবে হাট-বাড়ি আনা-নেওয়া করছি।
এদিকে হাটগুলোতে প্রচুর মানুষের সমাগম লক্ষ করা গেছে। অনেকে গরুর বাজার দেখতে আসছেন বলেও জানান।
ভোলার পশু হাটগুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে। সে জন্য জেলা পুলিশ শক্ত নজরদারি করছে। এছাড়া ভোলার প্রতিটি হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণে সহায়তা করবে বলে প্রচার করছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তারা। তবে আগামী হাটগুলোতে কাঙ্খিত দর পাওয়ার মধ্য দিয়ে হাট আরও জমজমাট হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন হাট ইজারাদাররা।
প্রতিনিধি/এসএস