জেলা প্রতিনিধি
০৭ এপ্রিল ২০২২, ০৮:৩৭ পিএম
মোবাইল ফোন চুরি ও ছিনতাই করে পরিচিত মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকানে নিয়ে যাওয়া হতো। সেখানে কয়েক মিনিটের মধ্যেই মোবাইলের আইএমআই নম্বরটি পরিবর্তন হয়ে যেতো। এরপর এসব মোবাইল বিভিন্ন দোকান ও গ্রাহক পর্যায়ে সরবরাহ করা হতো। ফলে মোবাইলের প্রকৃত মালিক কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে এর হদিস মেলানো কঠিন হয়ে পড়ে। নগরীতে দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফোনের আইএমইআই পরিবর্তন করে বিক্রি করে আসা একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতারের পর এমন তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ডিসি মো. জসিম উদ্দিন এসব কথা জানান।
এর আগে, বুধবার (৬ এপ্রিল) কোতোয়ালী থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১১৭টি চোরাই মোবাইল, আইএমইএই নম্বর পরিবর্তনের কাজে ব্যবহৃত ৩টি ল্যাপটপসহ তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন, মো. সাজ্জাদ (২০), হাবিবু্ল্লাহ মিজবাহ (২৫) ও মো. রাশেদ (২০)।
সংবাদ সম্মেলনে মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পুরাতন রেলস্টেশনের বাগদাদ হোটেলের গলিতে এই চক্রের সদস্য সাজ্জাদকে দেখতে পেয়ে পুলিশের সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে তাকে তল্লাশি করলে তার বহন করা ১১টি শপিং ব্যাগে ৩৫টি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। ওই সময় সে মোবাইল ফোনগুলো চোরাই বলে স্বীকার করে।
তিনি আরও বলেন, ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সাজ্জাদ নগরীর সিডিএ রয়েল প্লাজার ইনোভেটিভ ফোন কেয়ার নামের একটি মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকান থেকে চোরাই মোবাইলগুলো আইএমইআই পরিবর্তন করে বলে জানায়। তার এই কাজের সঙ্গে ওই দোকানের মালিক হাবিবুল্লাহ মেসবাহ ও কর্মচারী রাশেদ সরাসারি জড়িত রয়েছে বলে জানায়। মেসবাহ বিভিন্ন জনের কাছ থেকে চোরাই, ছিনতাই হওয়া মোবাইল সংগ্রহ করতো। পরে এসব মোবাইল বিভিন্ন দোকানে ও গ্রাহক পর্যায়ে সরবরাহ করা হতো।
উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন ছিনতাই কিংবা চুরির পরে আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করায় পুলিশের পক্ষ থেকে প্রকৃত মালিককে খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে তারা বিশেষ সফটওয়্যারের সহায়তায় নিতো। এছাড়া এসব মেবাইল বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হতো।
এজে