images

ককপিট

শাহজালাল বিমানবন্দরে সহজেই ধরা পড়বে অপরাধী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১৪ মার্চ ২০২৩, ১০:০৬ পিএম

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম (এপিআইএস) নামে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এতে মানবপাচার, মাদক কারবারি ও মানিলন্ডারিংয়ের মতো অপরাধীরা দেশত্যাগ করতে চাইলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইমিগ্রেশন বিভাগের কাছ তথ্য যাবে বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

বেবিচক সূত্র বলছে, এটি বাস্তবায়নে খরচ হতে পারে ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকা। বিনিয়োগ করবে অ্যামিরেটস টেকনোলজিস। তবে এর বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানটিকে প্রতিবছর নির্দিষ্ট হারে ফি দেবে বেবিচক।

তথ্য বলছে— প্রতি বছর শুধু শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে প্রায় ৪০ লাখের বেশি মানুষ বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। ফলে অপরাধীদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে এপিআইএস এই কাজ সহজ করবে। খুব সহজে অপরাধী শনাক্ত করবে সেই যন্ত্র। এই যন্ত্রের মাধ্যমে অন্য দেশের কোনো বিমানবন্দর থেকে আসা একটি ফ্লাইটের সব ক্রু ও যাত্রীর বায়োমেট্রিক উপাত্ত এবং ফ্লাইট-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা যাবে। তথ্য সংগ্রহের কাজটি উড়োজাহাজের টিকিট কাটার সময়ই স্বয়ংক্রিয়ভাবে হবে। 

ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে যাওয়ার আগেই উড়োজাহাজের সব আরোহীর তথ্য-উপাত্ত স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিশ্লেষণ করবে এই যন্ত্র। যাত্রীদের যাবতীয় তথ্য যাচাই করে নেবে। ফলে কেউ কোনো প্রকার ফাঁকি দিতে পারবে না। কোনো অপরাধী দেশ ছাড়তে চাইলে বোর্ডিং পাসের আগেই তার তথ্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেবে এপিআইএস।

বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, তারা তা বাস্তবায়নের জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন। বিনিয়োগকার প্রতিষ্ঠিনটি কারিগরি প্রস্তাব দিয়েছে। এখন সেটি যাচাই-বাছাই চলছে। যাচাই-বাছাইয়ের পর চূড়ান্ত চুক্তি হবে। এরপর এপিআইএস বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু। 

এমআইকে/এইউ