images

ককপিট

উড়োজাহাজের মাইলেজ কেমন?

আসাদুজ্জামান লিমন

২৩ মার্চ ২০২২, ০৩:৩৫ পিএম

গাড়ি কিংবা মোটরসাইকেলের মাইলেজ সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা আছে। কিন্তু উড়োজাহাজ বা বিমানের মাইলেজ সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষ জানেন না। সাধারণত মাইলেজ বলতে আমরা বুঝি এক লিটার জ্বালানি পুড়িয়ে একটি মোটরযান কত কিলোমিটার পথ চলতে পারে। আরও সহজ করে বললে এক লিটার জ্বালানিতে একটি গাড়ি যতটুকু পথ চলতে পারে সেটাই তার মাইলেজ।

অনেকেই জানতে চান বিমান কেমন মাইলেজ দেয়। বিমানের মাইলেজ সম্পর্কে জানার আগে জানুন, এটা চালাতে কী ধরনের জ্বালানি লাগে। 

jet fuleবিমানের জ্বালানি জেট ফুয়েল নামে পরিচিত। এর আরও নাম আছে, যেমন-এভিয়েশন ফুয়েল, এভিয়েশন গ্যাস, বায়ো ফুয়েল ইত্যাদি। 

বেশিরভাগ উড়োজাহাজ চলে জেট ফুয়েল দিয়ে। তবে বিমানে কোন ধরনের জ্বালানি ব্যবহার করা হবে তা নির্ভর করে ইঞ্জিনের মডেলের ওপর। এক এক ধরনের ইঞ্জিনে এক এক ধরনের জ্বালানি ব্যবহৃত হয়।

এছাড়াও আরেকটি বিষয় আছে। যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি বিমান কোন অ্যাল্টিটিউটে বা উচ্চতায় উড়বে তার ওপর নির্ভর করে জ্বালানি ভরা হয়।

জানলে অবাক হবেন পৃথিবীর বিখ্যাত বোয়িং ৭৪৭ মডেলের বিমান চলে কেরোসিনে। কেরোসিনের ফ্রিজিং পয়েন্ট মাইনাস ৪০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে হাই অ্যাল্টিটিউটে এই জ্বালানি জমে যায় না। 

এবার বোয়িংয়ের জ্বালানির খরচ জেনে নেওয়া যাক। বোয়িং ৭৪৭ এবং ৭৭৭ মডেলের বিমানের ইঞ্জিনে প্রতি চার সেকেন্ডে এক লিটার জ্বালানি লাগে। এর জন্য প্রতি এক সিগনেচার লিটার করে জ্বালানি খরচ হয়। বোয়িং বিমানের এক কিলোমিটার দূরত্ব যেতে ১২ লিটার কেরোসিনের প্রয়োজন হয়।

jet fuel

আশার কথা হচ্ছে বোয়িংয়ে প্রচুর যাত্রী বহন করা সম্ভব। এতে একসঙ্গে ৪৫৬ জন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারেন। হিসাব করলে দেখা যায়, একজন যাত্রীর এক কিলোমিটার যেতে ০.০৪ লিটার জ্বালানির প্রয়োজন। 

যদি ফ্লাইট ১০ ঘণ্টার হয়ে থাকে তাহলে বিমানটির ১ লাখ ৫০ হাজার লিটার জ্বালানির প্রয়োজন হবে। 

অনেকেই হয়ত টিভিতে দেখে থাকবেন, বিমানবন্দরে ট্যাক্সিওয়েতে একটি বিমান যখন দাঁড়িয়ে থাকে তখন তার সঙ্গে ছোট একটি গাড়ি যুক্ত থাকে। অনেকে ভাবেন ওই গাড়ি দিয়ে বিমানে ফুয়েল ভরা হয় বুঝি!

fuelকিন্তু আসলে তা নয়।  একে বলে এয়ারক্রাফট গ্রাউন্ড পাওয়ার ইউনিট বা এজিপিইউ। বিমান যখন যাত্রী ওঠা-নামানোর জন্য ট্যাক্সিওয়েতে দাঁড়িয়ে তাকে তখন ইঞ্জিন বন্ধ থাকে।  ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে না বিমান। কিন্তু বিমানের অভ্যন্তরীণ লাইট ও অন্যান্য যন্ত্র চালনার জন্য বিদ্যুতের দরকার হয়। তাই বাইরে থেকে জেনারেটরবাহী একটি গাড়ি বাইরে থেকে বিমানকে বিদ্যুৎ জোগায়। 

এজেড