images

ককপিট

সারাদেশে ফ্লাইট পরিচালনা করবে এয়ার অ্যাস্ট্রা

এভিয়েশন ডেস্ক

০৩ নভেম্বর ২০২২, ০৫:১৭ পিএম

বাংলাদেশের আকাশে ওড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন পেল বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা ‘এয়ার অ্যাস্ট্রা’। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এয়ার অ্যাস্ট্রাকে আকাশে ওড়ার চূড়ান্ত অনুমতি দেয়। যদিও প্রতিষ্ঠানটি ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বেবিচক থেকে অনুমোদন পেয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে সে সময় যাত্রা শুরু করতে পারেনি। অবশেষে সব আয়োজন সম্পন্ন হলো। এই উড়ান পরিচালনাকারী সংস্থার পরিকল্পনা রয়েছে সারাদেশে নভেম্বর মাস থেকেই ফ্লাইট পরিচালনা করার। 

ইতিমধ্যে এয়ার অ্যাস্ট্রা দেশের মাটিতে তাদের প্রথম এয়ারক্রাফট এনে রেখেছে। ৯ অক্টোবর এয়ার অ্যাস্ট্রা জানায়, এটিআর ৭২-৬০০ (S2-STB) মডেলের এয়ারক্রাফটটি দেশে এসেছে।

astra

এয়ার অ্যাস্ট্রার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফ জানিয়েছেন, এয়ার অ্যাস্ট্রা চারটি এটিআর ৭২-৬০০ মডেলের প্লেন লিজ নিয়েছে। যাত্রা শুরুর প্রথম দিন থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রুটের প্রতিটি বিমানবন্দরেই ফ্লাইট চালাবে এয়ার অ্যাস্ট্রা।

বাকি তিনটি এয়ারক্রাফটও শিগগরিই দেশে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বুলগেরিয়ার সোফিয়া থেকে ৫ অক্টোবর) রওনা হয়ে মিশরের কায়রো, ওমানের মাস্কাট ও ভারতের আহমেদাবাদ হয়ে দেশে পৌঁছেছে এয়ারক্রাফটটি।

গত ২৫ বছরে দেশে ১০টি বেসরকারি এয়ারলাইনস ফ্লাইট পরিচালনা করে। রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

astra

এছাড়া বাংলাদেশে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ও নভোএয়ার ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এরমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে, অ্যারো বেঙ্গল, এয়ার পারাবত, রয়্যাল বেঙ্গল, এয়ার বাংলাদেশ, জিএমজি এয়ারলাইনস, বেস্ট এয়ার, ইউনাইটেড এয়ার ও রিজেন্ট এয়ার। সবশেষ করোনার মধ্যে গত বছরের মার্চ থেকে ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে রিজেন্ট এয়ার।

বন্ধ হয়ে যাওয়া এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে জিএমজি, রিজেন্ট ও ইউনাইটেড আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও পরিচালনা করত।

astraএয়ার অ্যাস্ট্রা ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে বেবিচকের কাছে এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে তালিকাভুক্তি ও ফ্লাইট পরিচালনার আবেদন জমা দেয়। ওই বছরের ৪ নভেম্বর তারা এনওসি পায়। প্রাথমিকভাবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি শেষ সপ্তাহে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করেছিল তারা। কিন্তু করোনা ও বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ রাখার স্থান সংকটের কারণে ফ্লাইট পরিচালনায় বিলম্ব হয়।

জানা গেছে, হারুন অর রশিদ নামের একজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী এয়ার অ্যাস্ট্রার অর্থায়ন করছেন। যিনি জাপানে বসবাস করেন।

এজেড