এভিয়েশন ডেস্ক
০৪ আগস্ট ২০২২, ০৯:৪৭ এএম
ব্যক্তিগত গাড়ি বা প্রাইভেট কার অনেকেই কেনেন। প্রাইভেট কার কেনার সাধ্য তাদের আছে। কিন্তু বিমান কেনার সাধ্য সবার নেই। অনেকেই তো জীবনে একবারও জীবনে চড়ার সুযোগই পাননি। বিমান কেনা তো দূরে থাক। কেউ কেউ আছেন জীবনে কাছ থেকে বিমান চোখেরও সুযোগ পাননি। অথচ, পৃথিবীতে এমন একটি শহর রয়েছে যেখানকার বাসিন্দাদের সবারই প্রাইভেট জেটের মালিক। ব্যক্তিগত গাড়ির মতোই তারা ব্যক্তিগত বিমানে চড়েন।
শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও কিন্তু এই ঘটনা সত্যি! আমেরিকার ক্যামেরন পার্ক শহরের সকলেই ব্যক্তিগত বিমানের মালিক।
ক্যালিফোর্নিয়ার এই ছোট্ট শহরের লোকেরা অফিস যান বিমানে চড়ে। এমনি কি একটু দূরে বাজার করতেও যান বিমানে চড়ে। সপ্তাহ শেষে ছুটি কাটাতে কাছাকাছি কোথাও যেতে হলেও বিমানেই উড়াল দেন।
এই এলাকার একটি ঐতিহাসিক বিশেষত্ব রয়েছে। সরকারি নথিতে এলাকাটিকে শহরের পরিবর্তে ফ্লাই ইন রেসিডেন্সিয়াল কমিউনিটি উল্লেখ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকার বহু বিমানবন্দর অচল হয়ে পড়ে। এই কারণে বাড়ছিল অবসরপ্রাপ্ত বিমানচালকের সংখ্যা। যুদ্ধে অংশ নেওয়া সেই অবসরপ্রাপ্ত বিমানচালকদের কমিউনিটিই আসলে এই ফ্লাই ইন রেসিডেন্সিয়াল কমিউনিটি।
পরে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয়, বিমানবন্দর এলাকাতেই এক সময়ের বিমান চালাকদের থাকার ব্যবস্থা হবে। সেই ভাবনা থেকেই ১৯৬৩ সালে তৈরি হয় ক্যামেরন পার্ক।
অন্যান্য শহরে বাস-ট্যাক্সি বা ব্যক্তিগত যানবাহন যেভাবে চলে, এ শহরে বিমান চলে সেভাবেই। গাড়ির গ্যারেজের মতোই প্লেন রাখার জায়গা আছে বাড়িগুলোর সামনে।
এখানে বছরে একবার প্লেনের প্রদর্শনী হয়। সেদিন রানওয়ে বরাবর সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ায় বিভিন্ন মডেলের বিমান। রানওয়ে ধরে একসঙ্গে সেই সব বিমানের উড়াল দেওয়ার দৃশ্য দেখার মতো। হাতে গোনা ১২৪টি বাড়ির শহর সত্যি অবাক করা।
এজেড