মোস্তফা ইমরুল কায়েস
৩০ আগস্ট ২০২৩, ১০:৩০ পিএম
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগামী অক্টোবরে ‘স্বল্প পরিসরে’ চালু হতে যাচ্ছে বিমানবন্দরটির তৃতীয় টার্মিনাল। অত্যাধুনিক এই টার্মিনালের থাকবে যাত্রীদের জন্য নানা সুযোগ-সুবিধা, যা এভিয়েশন খাতের চিত্রই পাল্টে দেবে।
জানা গেছে, সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের আদলে তৈরি হচ্ছে এ টার্মিনাল। এতে যাত্রীদের বাড়তি সুবিধার মধ্যে থাকবে— স্ট্রেইট এসকেলেটর, অত্যাধুনিক ব্যাগেজ বেল্ট, বেবি কেয়ার-চিলড্রেন প্লে, ফার্স্ট-এইড, মুভি লাউঞ্জ, ফুড কোর্ট, চেক-ইন বোর্ডিং। এই টার্মিনালে যাত্রী নিজেই ইমিগ্রেশন করতে পারবেন। এছাড়া এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও উন্নতমানের হবে।
সব ঠিক থাকলে ‘স্বল্প পরিসরে’ আগামী অক্টোবরে উদ্বোধন করা হবে। পরিপূর্ণভাবে নতুন এ টার্মিনালটি চালু হতে আরও বছর খানেক সময় লাগবে। এ টার্মিনাল চালু হলে দেশের এভিয়েশন খাতের সম্ভাবনার দুয়ারগুলো আরও বাড়বে। ফি বছর যুক্ত হবে নতুন নতুন এয়ারলাইন্স কোম্পানি।
নান্দনিক এই তৃতীয় টার্মিনালের কাজ করছে অ্যাভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে জাপানের মিৎসুবিসি ও ফুজিটা এবং কোরিয়ার স্যামসাং এই তিনটি প্রতিষ্ঠান। টার্মিনালটির নকশা করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন স্থপতি রোহানি বাহারিন। যিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালের নকশা করেছেন বলে দাবি বেবিচকের।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের শুরু হয় ২০১৭ সালে। এরপর ২০২০ সালে ঠিকাদারী চুক্তি হয়। চুক্তির পর ২০২০ সালের ৬ এপ্রিল ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তাদের কাজ শুরু করে। তখন তারা কাজ বাস্তবায়নে সময় চায় ৪৮ মাস।

বেবিচক সূত্র আরও জানায়, টার্মিনাল নির্মাণে যা ব্যয় হবে তাতে সহযোগিতা করছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)। এতে ব্যয় হবে প্রায় ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। বিমানের পার্কিং এপ্রোনটি হবে ৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটারের। যাতে অনায়াসে উড়োজাহাজ রাখার ৩৬টি পার্কিং করা যাবে।
নান্দনিক এই তৃতীয় টার্মিনালের কাজ করছে অ্যাভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে জাপানের মিৎসুবিসি ও ফুজিটা এবং কোরিয়ার স্যামসাং এই তিনটি প্রতিষ্ঠান। টার্মিনালটির নকশা করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন স্থপতি রোহানি বাহারিন। যিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালের নকশা করেছেন বলে দাবি বেবিচকের।
অত্যাধুনিক এই টার্মিনালে যা যা থাকছে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ভবনটির আয়তন হবে ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার। লম্বা ৭০০ মিটার এবং চওড়া ২০০ মিটার। যেখানে প্রতি বছর ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রী সেবা নিতে পারবে। আর তাদের সুবিধায় থাকবে টানেলসহ বহুতল বিশিষ্ট কারপার্কিং। যা হবে ৫৪ হাজার বর্গমিটারের। আগুন লাগলে বা কোনো দুর্ঘটনা থেকে রক্ষায় থাকবে ফায়ার ফাইটিং স্টেশন।
এসবের পাশাপাশি ২৭ হাজার বর্গমিটারেট ইমপোর্ট কার্গো টার্মিনাল, ৩৬ হাজার বর্গমিটারের এক্সপোর্ট কার্গো টার্মিনাল। আরও ২টি রেপিড এক্সিট ট্যাক্সিওয়ে। যা সাড়ে ৮১ হাজার বর্গমিটার, কানেকটিং টেক্সিওয়ে ৬৬ হাজার ৫০০ বর্গমিটার, ল্যান্ডসাইডে এলিডেটেড রোড। পাশাপাশি থাকবে বিমানবন্দর সংলগ্ন সড়ক (হাইওয়ে), এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সাথে সংযোগ, যাত্রী ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ইকুয়েপমেন্ট (অটোমেটেড ওয়ার) সব কাজ এখন এগিয়ে চলছে।
সম্প্রতি বেবিচক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পের প্রথম ধাপে ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ থাকবে। যাত্রীরা বহির্গমনে ব্যবহার করতে পারবেন ১৫টি সেলফ সার্ভিস চেক ইন কাউন্টার। এছাড়াও সব মিলে ১১৫টি চেক ইন কাউন্টার থাকবে। বিমানবন্দরে ঢুকে একজন যাত্রীকে চেক-ইন কাউন্টারে তার টিকিট দেখিয়ে বোর্ডিং পাস নিয়ে ব্যাগেজ জমা দিতে হয়। এ ঝামেলা এখানে থাকবে না।

এগুলোতে নিজের পাসপোর্ট এবং টিকিটের তথ্য প্রবেশ করালে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসবে বোর্ডিং পাস ও সিট নম্বর। এরপর নির্ধারিত জায়গায় যাত্রী তার লাগেজ রেখে দেবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে লাগেজগুলো এয়ারক্রাফটের নির্ধারিত স্থানে চলে যাবে। এছাড়া ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টারসহ ৬৬টি ডিপারচার ইমিগ্রেশন কাউন্টার।
আগমনীর ক্ষেত্রে পাঁচটি স্বয়ংক্রিয় চেক ইন কাউন্টারসহ ৫৯টি পাসপোর্ট ও ১৯টি চেক ইন অ্যারাইভাল কাউন্টার থাকবে। এর বাইরে টার্মিনালে ১৬টি আগমনী ব্যাগেজ বেল্ট স্থাপন করা হচ্ছে।
এছাড়া অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগেজের জন্য চারটি পৃথক বেল্ট স্থাপন করা হবে। গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে মাল্টিলেভেল কার পার্কিং ভবন নির্মাণ করা হবে। এতে ১৩৫০টি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।
এ টার্মিনাল চালু হলে যাত্রীরা আসা-যাওয়ায় ভোগান্তির শিকার হবেন না। কারণ তৃতীয় টার্মিনাল ভবনের সঙ্গে ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ পথ ও উড়াল সেতু নির্মাণ হচ্ছে। যা যাতায়াতকে সহজতর করবে। একজন যাত্রী টার্মিনাল থেকে বের হয়ে সহজে গাড়িতে চড়ে মেট্রোরেল ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগে যুক্ত হতে পারবেন। থাকবে আন্তর্জাতিকমানের অত্যাধুনিক অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা।
যাত্রীরা নিজেরাই ইমিগ্রেশন করবে!
নতুন টার্মিনাল ভবনের বহির্গমন পথে ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল বা ই-গেইট থাকবে।
যেখানে যাত্রীরা নিজেরাই ইমিগ্রেশন করাতে পারবেন। তাদেরকে আর ইমিগ্রেশন পুলিশের মুখোমুখি হতে হবে না। তবে নিজেরা করতে না চাইলে তাকে সহযোগিতা করতে ৫৬টি বহির্গমন ইমিগ্রেশন কাউন্টারও প্রস্তুত থাকবে। সেখানে ইমিগ্রেশন করবে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
এছাড়াও যেসব যাত্রী অন্যান্য দেশ থেকে বাংলাদেশে ঢুকবেন তাদের জন্য ৫টি ই-গেট থাকবে। পাশাপাশি থাকবে ৫৪টি অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন কাউন্টার। গেল বছর ই-গেট চালু হলেও সেগুলো এখন অনেকটাই পড়ে আছে। তবে নতুনটিতে এমনটি হবে না বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ফাঁকি দেওয়া কঠিন হবে
নতুন এই টার্মিনালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নতমানের হবে। প্রতিটি যাত্রীকে ২৭টি ব্যাগেজ স্ক্যানিং মেশিন, ১১টি বডি স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষা করানো হবে। এখন শাহজালালে যাত্রীদের হাতে তল্লাশি করা হয়। তবে তখন এমনটি হবে না। বিমানে উঠা পর্যন্ত হাতের স্পর্শ ছাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তল্লাশি চলবে। তবে সহযোগিতার অংশ হিসেবে যাত্রীকে বডি স্ক্যানার মেশিনের ভেতর দু’হাত তুলে দাঁড়াতে হবে। এর ফলে সকলের সময় বাঁচবে। যাত্রী ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সময় বাঁচবে। স্ক্যানিং নিয়ে আর কারো মাঝে প্রশ্ন থাকবে না।
সম্প্রতি সরেজমিনে টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, রাত দিন চলছে টার্মিনালের কাজ। প্রতিদিন নিত্য নতুন শ্রমিকরা যুক্ত হচ্ছে। আগামী অক্টোবরে উদ্বোধনের আগের দিন পর্যন্ত কাজ চলবে। বর্তমানে টার্মিনাল ভবনের অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা এবং বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ চলছে। প্রতিদিন দৃশ্যমান হচ্ছে টার্মিনালের অবকাঠামো।
বেবিচক কর্মকর্তারা বলছেন, এ টার্মিনাল চালু হলে যাত্রীরা আসা-যাওয়ায় ভোগান্তির শিকার হবেন না। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, তৃতীয় টার্মিনাল ভবনের সঙ্গে ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ পথ ও উড়াল সেতু নির্মাণ হচ্ছে। যা যাতায়াতকে সহজতর করবে। একজন যাত্রী টার্মিনাল থেকে বের হয়ে সহজে গাড়িতে চড়ে মেট্রোরেল ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগে যুক্ত হতে পারবেন। থাকবে আন্তর্জাতিকমানের অত্যাধুনিক অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা।
তবে তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পের প্রথম ধাপের সঙ্গে বর্তমান টার্মিনাল ভবনগুলোর আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থা থাকবে না। বর্তমানে চালু থাকা ভিভিআইপি কমপ্লেক্সটি ভেঙে ফেলা হবে। তৃতীয় টার্মিনালে স্বতন্ত্র কোনো ভিভিআইপি টার্মিনাল থাকবে না। তবে ভবনের ভেতরে দক্ষিণ পাশে ভিভিআইপিদের সময় কাটানোর জায়গা থাকবে।

যেসব সুবিধা থাকবে যাত্রীদের জন্য
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালে (টার্মিনাল-৩) প্রায় সব ধরনের আধুনিক এসব সুযোগ-সুবিধা থাকছে। যারা বিমানবন্দরের দীর্ঘপথ হাঁটতে পারেন না, তাদের জন্য টার্মিনালটিতে বেশ কয়েকটি স্ট্রেইট এসকেলেটর লাগানো হচ্ছে। এ সুবিধা মেলে সিঙ্গাপুর, ব্যাংককসহ বিশ্বের অত্যাধুনিক বিমানবন্দরগুলোতে।
এখন থেকে নতুন টার্মিনালে যাত্রীদের লাগেজ খোঁজা নিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হতে হবে না। তাদের জন্য তিনটি আলাদা স্টোরেজ এরিয়া থাকবে। রেগুলার ব্যাগেজ স্টোরেজ, লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড এবং অড সাইজ (অতিরিক্ত ওজনের) ব্যাগেজ স্টোরেজ। ফলে যাত্রীর লাগেজ আর হারানোর ভয় থাকবে না। ব্যাগেজ এলাকাসহ বিমানবন্দরের বিভিন্ন স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা ব্যাগেজগুলোর জন্য থাকবে আলাদা লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড ব্যাগেজ এরিয়া।
সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি ও ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরের মতো অত্যাধুনিক ১৬টি ব্যাগেজ বেল্ট থাকছে। আর অতিরিক্ত ওজনের (ওড সাইজ) ব্যাগেজের জন্য স্থাপন করা হবে আরও চারটি পৃথক বেল্ট।
অনেক যাত্রী ফ্লাইটের অপেক্ষায় বসে থাকতে থাকতে বোরিং ফিল করেন। আবার অনেকের ট্রানজিট পেলে সময় কাটে না। তাদের কথা মাথায় রেখে তৈরি হচ্ছে মুভি লাউঞ্জ ও ফুড কোর্ট। এছাড়াও এয়ারলাইন্স লাউঞ্জ, ডে-রুম। এছাড়াও ঘোরাফেরা ও কেনাকাটার জন্য তৈরি হচ্ছে ১৪টি স্পটে ডিউটি ফ্রি শপ।
শিশুর যত্ন, খেলা ও চিকিৎসা কেন্দ্র
যারা ভ্রমণের আগে শিশুদের নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন তাদের সন্তানদের কথা ভেবে রাখা হচ্ছে বেবি কেয়ার লাউঞ্জ। যেটি নতুন টার্মিনালের প্রতিটি ওয়াশরুমের সামনে থাকবে। আর যেসব মায়েরা শিশুকে জনসম্মুখে ব্রেস্ট ফিডিং করতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন তাদের সুবিধায় এ লাউঞ্জের ভেতর মায়েদের ব্রেস্ট ফিডিং বুথ, ডায়াপার পরিবর্তনের জায়গা এবং একটি বড় পরিসরে ফ্যামিলি বাথরুম থাকবে।
এছাড়াও বাচ্চাদের স্লিপার-দোলনাসহ একটি চিলড্রেন প্লে এরিয়াও থাকবে। নতুন টার্মিনালে যাত্রীরা পাবেন ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা সেবা। চিকিৎসকসহ হেলথ ইন্সপেকশন সুবিধা, প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ফার্স্ট-এইড রুম, করোনাসহ নানা রোগের টেস্টিং সেন্টার ও আইসোলেশন এরিয়া।

বিনোদন ও নাস্তার সুবিধা
অনেক যাত্রী ফ্লাইটের অপেক্ষায় বসে থাকতে থাকতে বোরিং ফিল করেন। আবার অনেকের ট্রানজিট পেলে সময় কাটে না। তাদের কথা মাথায় রেখে তৈরি হচ্ছে মুভি লাউঞ্জ ও ফুড কোর্ট। এছাড়াও এয়ারলাইন্স লাউঞ্জ, ডে-রুম। এছাড়াও ঘোরাফেরা ও কেনাকাটার জন্য তৈরি হচ্ছে ১৪টি স্পটে ডিউটি ফ্রি শপ।
যাত্রীরা টার্মিনালের বাইরে ও ভেতরে পাবেন ফুড কোর্ট, ফুড গ্যালারি, ওয়াই-ফাই এবং মোবাইল চার্জিংয়ের সুবিধা। এছাড়াও নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক নামাজের ব্যবস্থাও থাকছে। যাত্রীদের নিতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য মিটার্স অ্যান্ড গ্রিটার্স প্লাজাও থাকবে নতুন টার্মিনালে।
তৃতীয় টার্মিনালের তথ্য নিয়ে লুকোচুরি!
গত প্রায় চার বছর থেকে নতুন এ টার্মিনাল নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। ফলে প্রতি মাসে কম বেশি তথ্য আসে মিডিয়ায়। ঢাকা মেইলের পক্ষ থেকে নতুন টার্মিনালের সর্বশেষ আপডেট ও কি কি সুবিধা থাকবে জানতে প্রকল্পের পিডি মাকসুদুলকে কল করা হলে তিনি তথ্য দিতে গড়িমসি করেন।
তিনি একবার বলেন বেবিচকের অনুমতি লাগবে। পরে তার বক্তব্য নেওয়ার জন্য মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) রাতে কল করা হলে সব কিছু শুনে অসুস্থ বলে ফোন রেখে দেন।
এমআইকে/এএস