images

ককপিট

যেভাবে আকাশে বিমান থেকে বিমানে জ্বালানি ভরা হয়

এভিয়েশন ডেস্ক

১২ এপ্রিল ২০২২, ০৩:০২ পিএম

চলতি পথে জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে কাছের পাম্পে থামে গাড়ি। নতুন করে জ্বালানি ভরে নেওয়া হয়। কিন্তু আকাশ পথে? সেখানে তো কোনো পাম্প নেই। তাহলে বিমানের জ্বালানি মাঝ পথে শেষ হয়ে গেলে উপায়? সাধারণত পর্যাপ্ত জ্বালানি নিয়েই যাত্রা করে বিমান। এরপরও বিশেষ পরিস্থিতিতে জ্বালানি শেষ হয়ে যেতে পারে। তখন পাইলট সাহায্যের আবেদন করেন। ফুয়েল নিয়ে তাদের সাহায্য করতে আসে অন্য একটি বিমান। মাঝ আকাশে এক বিমান থেকে অন্য বিমানে ফুয়েল স্থানান্তরের এই পদ্ধতিকেই বলা হয় এরিয়াল রিফুয়েলিং। 

এরিয়াল রিফুয়েলিং এয়ার-টু-এয়ার রিফুয়েলিং নামেও পরিচিত। এক্ষেত্রে জ্বালানি লোড করা বিমানটিকে ট্যাংকার বলা হয়। অন্যদিকে, জ্বালানি গ্রহণকারী বিমানটিকে বলা হয় রিসিভার। যে সামরিক বিমানগুলো অপারেশন ফ্লাইটে ৩০০০ নটিক্যাল মাইলেরও বেশি পথ পাড়ি দেয় তাদের রিফুয়েলের প্রয়োজন হয়। 

refuelingকীভাবে এরিয়াল রিফুয়েলিং হয়ে থাকে? 

এই প্রক্রিয়াটি বেশ বিপজ্জনক। কারণ, এক্ষেত্রে দুইটি বিমানকে ১০০ ফিট বা তারও কম দুরত্বে মাঝ আকাশে অবস্থান করতে হয়। সাধারণত দুইটি উপায়ে এরিয়াল রিফুয়েলিং হয়ে থাকে। 

প্রোব অ্যান্ড ড্রোগ: এই প্রক্রিয়ায় ট্যাংকার একটি দীর্ঘ হোস পাইপ রিসিভারের দিকে এগিয়ে দেয়। বাতাসে ভেসে বেড়ায় হোস পাইপ। এর পাইপের মাথায় ফানেল আকৃতির একটি নল থাকে। রিসিভারের পাইলট আরেকটা নল জ্বালানি সংগ্রহের জন্য এগিয়ে দেয়। দুইটি নলই বাতাসে ভেসে থাকে। কৌশলী পাইলটরা দুই নলের সংযোগ ঘটান। নল দুইটি সংযুক্ত করার বিষয়টি করতে হয় নির্দিষ্ট গতিতে। খুব বেশি ধীর গতি হলে সংযোগ নাও হতে পারে। আবার খুব দ্রুত নাড়াচাড়া করলে হোস পাইপ ভেঙে যেতে পারে। 

refuelingফ্লায়িং বুম: এক্ষেত্রে বুম নামে পরিচিত শক্ত একটি নল দুইটি বিমানের মধ্যে সংযুক্ত করা হয়। একজন বিশেষজ্ঞ অপারেটর রিসিভার বিমানে নলটি সংযুক্ত করেন। এরপর নির্দেশ দেওয়ার পর ট্যাংকার বিমান থেকে নলে ফুয়েল ছাড়া হয়। দ্রুত জ্বালানি স্থানান্তর করা যায় বলে এই পদ্ধতিটি বেশি জনপ্রিয়। ফ্লায়িং বুম পদ্ধতিতে মিনিটে ৬০০০ পাউন্ড জ্বালানি স্থানান্তারিত হয়ে থাকে। প্রোব অ্যান্ড ড্রোগের ক্ষেত্রে যা মিনিটে ২০০০ পাউন্ড

সাবধানতা জরুরি 

রিফুয়েলিং এর সময় দুটো বিমানকে একই গতিতে থাকতে হবে। গতির কোনো পরিবর্তন হলে ফিলিং ডিডাইসটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলাদা হয়ে যাবে। কাজ করা বন্ধ করে দিবে। সেক্ষেত্রে আবার নতুন করে সংযোগ স্থাপন করতে হবে। 

এরিয়াল ফুয়েলিং শেষ হয়ে গেলে, ট্যাংকার ফুয়েলিং ডিডাইসের পাওয়ার বন্ধ করে দেয়। এরপর বুম বা ড্রোগকে রিসিভার থেকে আলাদা করে নেয়। এরপর ট্যাংকার বিমানটি ল্যান্ড করে। রিসিভার বিমানটি জ্বালানি পূর্ণ হয়ে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে চলে। 

এনএম/এজেড