অটোমোবাইল ডেস্ক
২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৩ এএম
ভারতের অটোমোবাইল শিল্পে নতুন ইতিহাস তৈরি করল টাটা মোটরস। দেশের প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ি হিসেবে ১ লাখ ইউনিট বিক্রির অভাবনীয় মাইলফলক স্পর্শ করেছে টাটা নেক্সন ইভি। এই বিশাল অর্জন শুধুমাত্র টাটা মোটরসের জন্য এক অনন্য সাফল্য নয় বরং এটি ভারতের সামগ্রিক ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল বা ইভি শিল্পের অগ্রগতির একটি বড় প্রমাণ। ২০২০ সালে বাজারে আসার পর থেকেই শক্তিশালী রেঞ্জ এবং নির্ভরযোগ্য চার্জিং নেটওয়ার্কের কারণে নেক্সন ইভি গ্রাহকদের প্রথম পছন্দে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে ভারতের ইভি বিপ্লবের সমার্থক হয়ে উঠেছে এই মডেলটি।
দুটি ভিন্ন পাওয়ারফুল ব্যাটারি অপশন টাটা নেক্সন ইভি মডেলটিতে গ্রাহকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে দুটি আলাদা ব্যাটারি প্যাকের বিকল্প রাখা হয়েছে। প্রথম অপশনে রয়েছে ৩০ কিলোওয়াট আওয়ারের ব্যাটারি যা ১২৯ বিএইচপি শক্তি এবং ২১৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। অন্যদিকে যারা আরও বেশি শক্তিশালী গাড়ি পছন্দ করেন তাদের জন্য রয়েছে ৪০.৫ কিলোওয়াট আওয়ারের ব্যাটারি প্যাক। এটি ১৪৪ বিএইচপি শক্তি এবং ২১৫ এনএম টর্ক প্রদান করে। কোম্পানির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ছোট ব্যাটারি প্যাকটি একবার সম্পূর্ণ চার্জে ৩২৫ কিলোমিটার এবং বড় ব্যাটারিটি ৪৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জ দিতে সক্ষম।

অত্যাধুনিক ইন্টিরিয়র ও ফিচার প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতার জন্য এই গাড়ির ভেতরে ব্যবহার করা হয়েছে সব আধুনিক প্রযুক্তি। এর ড্যাশবোর্ডে রয়েছে ১২.৩ ইঞ্চির বড় টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম এবং চালকের জন্য ১০.২৫ ইঞ্চির ফুল ডিজিটাল ডিসপ্লে। এছাড়া এতে ওয়্যারলেস চার্জিং এবং চমৎকার সিঙ্গেল পেন সানরুফের সুবিধা পাওয়া যায়। যাত্রীদের বিনোদন ও আরামদায়ক যাত্রার জন্য এটি একটি আদর্শ প্যাকেজ।
আরও পড়ুন: কোনো দেশে গাড়ির স্টিয়ারিং ডান দিকে, আবার কোনো দেশে বাম দিকে কেন?
নিরাপত্তায় ৫-স্টার রেটিং ও বাজারমূল্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে টাটা মোটরস কোনো আপস করেনি। ভারত এনক্যাপ ক্র্যাশ টেস্টে টাটা নেক্সন ইভি সর্বোচ্চ ৫ স্টার সেফটি রেটিং অর্জন করেছে। নিরাপত্তার স্বার্থে এতে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে ৬টি এয়ারব্যাগ এবং ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরার মতো উন্নত ফিচার দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বাজারে গাড়িটির শুরুর দাম ১২.৪৯ লাখ রুপি এবং এর টপ মডেলের দাম ১৭.৪৯ লাখ রুপি পর্যন্ত (এক্স শোরুম)।

ভারতের রাস্তায় ১ লক্ষ নেক্সন ইভির চলাচল প্রমাণ করে যে দেশের মানুষ এখন পরিবেশবান্ধব এবং নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থায় অভ্যস্ত হচ্ছে। এই মাইলফলক ভবিষ্যতে ইলেকট্রিক গাড়ির বাজারকে আরও বড় পরিসরে নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এজেড