অটোমোবাইল ডেস্ক
২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০৮ এএম
ক্রমবর্ধমান জ্বালানির দামের বাজারে বাইক থেকে ভালো মাইলেজ পাওয়া এখন নিয়মিত চালকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক সময় বাইকে কোনো বড় যান্ত্রিক সমস্যা না থাকলেও হঠাৎ করেই মাইলেজ কমে যেতে দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাইক চালানোর অভ্যাস ও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে মাইলেজ কমে যাওয়ার মূল কারণ।
বাইক চালানোর সময় হঠাৎ ব্রেক করা, অপ্রয়োজনীয় রেভ দেওয়া কিংবা দীর্ঘক্ষণ ক্লাচ চেপে রাখার মতো অভ্যাস ইঞ্জিনের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে। এর ফলে জ্বালানি বেশি খরচ হয় এবং ধীরে ধীরে মাইলেজ কমে যায়। বিপরীতে, সঠিক গিয়ার ব্যবহার ও মসৃণ গতিতে বাইক চালালে জ্বালানি সাশ্রয় করা সম্ভব।
মাইলেজের ক্ষেত্রে পেট্রোলের গুণগতমান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নমানের পেট্রোল ব্যবহার করলে ইঞ্জিনের ভেতরে কার্বন জমে যায়, যা ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এর সরাসরি প্রভাব পড়ে বাইকের মাইলেজে। এ কারণে বিশেষজ্ঞরা সব সময় নির্ভরযোগ্য পাম্প থেকে জ্বালানি নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ইঞ্জিন অয়েল ও এয়ার ফিল্টার নিয়মিত পরীক্ষা ও পরিবর্তন করাও জরুরি। নির্দিষ্ট সময় অন্তর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন না করলে ইঞ্জিনে ঘর্ষণ বেড়ে যায়, ফলে জ্বালানি খরচও বৃদ্ধি পায়। একইভাবে এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার না থাকলে ইঞ্জিন পর্যাপ্ত বাতাস পায় না, যার কারণে মাইলেজ কমে যায়।
নিয়মিত সার্ভিসিং বাইকের পারফরম্যান্স ও মাইলেজ ধরে রাখার অন্যতম উপায়। অনেক সময় ছোটখাটো সমস্যাকে অবহেলা করা হয়, যা পরবর্তীতে বড় সমস্যায় রূপ নেয়। সময়মতো সার্ভিসিং করলে ইঞ্জিন, ব্রেকসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ ভালো থাকে এবং জ্বালানির অপচয় কমে।
আরও পড়ুন: হোন্ডা হর্নেট ১২৫ সিসি: একসময় স্বপ্নের বাইক এখন হাতের নাগালে
অটোমোবাইল বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাইকের টায়ার প্রেসার ঠিক রাখা মাইলেজের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের মতে, অন্তত দুই সপ্তাহ অন্তর টায়ারের বাতাস পরীক্ষা করা উচিত। টায়ার প্রেসার কম থাকলে ইঞ্জিনকে বেশি চাপ নিতে হয়, ফলে জ্বালানি খরচ বেড়ে যায়। ছোট ছোট এই বিষয়গুলো মেনে চললেই বাইক থেকে ভালো মাইলেজ পাওয়া সম্ভব।
এজেড