অটোমোবাইল ডেস্ক
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৪ পিএম
ভারতের জনপ্রিয় মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড রয়্যাল এনফিল্ড তাদের প্রথম ইলেকট্রিক বাইক Flying Flea C6 নিয়ে জোরকদমে পরীক্ষা চালাচ্ছে। আগেরবার ভারতের লাদাখের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক উচ্চতায় পরীক্ষার পর এবার বাইকটি দেখা গেল শহরের রাস্তায় টেস্ট রান করতে। অনুমান করা হচ্ছে, এটি চেন্নাইয়ের রাস্তায় পরীক্ষা চালানো হয়েছে, যেখানে রয়্যাল এনফিল্ডের ফ্যাক্টরি অবস্থিত। সংস্থার লক্ষ্য এই বাইককে ক্রেতাদের নাগালের দামে শহুরে যাতায়াতের জন্য বাজারে আনা।
অনন্য ডিজাইন ও ভিজ্যুয়াল আকর্ষণ
Flying Flea C6 ভারতের বাজারে আগে দেখা যাওয়া কোনো ইলেকট্রিক বাইকের মতো নয়। বাইকের ডিজাইনে রয়েছে রেট্রো ও ফিউচারিস্টিক ছোঁয়া। গার্ডার ফ্রন্ট ফর্কস, বড় অ্যালয় হুইল (সম্ভবত ১৭-ইঞ্চির থেকেও বড়), ফোর্জড অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেম এবং ফ্লোটিং স্টাইল সিট এটিকে আলাদা করেছে। ভিজ্যুয়াল আকর্ষণ বাড়াতে ব্যবহৃত হয়েছে গোলাকার হেডল্যাম্প, টেল ল্যাম্প এবং রিয়ার-ভিউ মিরর, যা স্পষ্ট রেট্রো ফিল দেয়।

ব্যাটারি ও রেঞ্জ
রয়্যাল এনফিল্ড এখনও বাইকের সম্পূর্ণ প্রযুক্তিগত স্পেসিফিকেশন প্রকাশ করেনি। তবে জানা গেছে, এতে ম্যাগনেশিয়াম কেসিংসহ ব্যাটারি প্যাক ব্যবহার করা হয়েছে, যা ব্যাটারির কুলিং সিস্টেম উন্নত করে এবং সামগ্রিক ওজনও কমায়। অনুমান করা হচ্ছে, একবার চার্জে বাইকটি প্রায় ১০০ কিলোমিটার রেঞ্জ দিতে পারবে, যা শহুরে যাতায়াতের জন্য যথেষ্ট।
আধুনিক ফিচার
Flying Flea C6 শুধুই রেট্রো লুক নয়, ফিচারও অত্যাধুনিক। এতে থাকবে স্মার্টফোন কানেক্টিভিটি সহ সার্কুলার ব্লুটুথ-সাপোর্টেড TFT ডিসপ্লে, ট্র্যাকশন কন্ট্রোল এবং কর্নারিং ABS। এই উন্নত ফিচারগুলো বাইকটির নিরাপত্তা ও ব্যবহারযোগ্যতা অনেকগুণ বাড়িয়ে তুলবে।

লঞ্চ কবে?
রয়্যাল এনফিল্ড আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও লঞ্চের তারিখ ঘোষণা করেনি। তবে অটোমোবাইল মহলে জোর আলোচনা, সংস্থা ২০২৬ সালের শুরুর দিকে Flying Flea C6 বাজারে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর আগেই সংস্থা বাইকের সম্পূর্ণ স্পেসিফিকেশন ও ফিচার উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হায়ার সিসির মোটরসাইকেলের দাম বাড়ছে
Flying Flea C6 নিঃসন্দেহে ভারতীয় ইলেকট্রিক বাইক বাজারে একটি ব্যতিক্রমী সংযোজন হতে চলেছে। এর রেট্রো-ফিউচারিস্টিক ডিজাইন, উন্নত ফিচার ও শহুরে ব্যবহারযোগ্যতা বাইকপ্রেমীদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করেছে। যদি লঞ্চের সময় সংস্থা প্রতিযোগিতামূলক দাম নির্ধারণ করে, তবে এটি শহরের যাত্রীদের জন্য পরিবেশবান্ধব ও কার্যকর পথ চলার সমাধান হতে পারে।
এজেড