অটোমোবাইল ডেস্ক
২৮ আগস্ট ২০২৫, ১১:৪৮ এএম
মোটরসাইকেল কেনার সময় ইঞ্জিনের ধরন গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। প্রধানত দুই ধরনের ইঞ্জিন পাওয়া যায়—এয়ার-কুলড (Air-Cooled) এবং ওয়াটার-কুলড বা ওয়েল-কুলড (Water-Cooled / Oil-Cooled)। প্রতিটি ধরনের নিজস্ব সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যা রাইডারদের প্রয়োজন ও ব্যবহারভিত্তিক পরিবর্তিত হয়।
এয়ার-কুলড ইঞ্জিনে ইঞ্জিনের চারপাশে ফিন থাকে, যা ইঞ্জিন থেকে উত্তপ্ত তাপ শুষে বাতাসের মাধ্যমে বের করে দেয়। বাইক চলার সময় বাতাস ফিনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ইঞ্জিনকে ঠান্ডা রাখে।

সহজ ও সাশ্রয়ী রক্ষণাবেক্ষণ: সরল প্রযুক্তির কারণে সার্ভিসিং সহজ ও কম খরচে হয়।
হালকা ওজন: অতিরিক্ত কুলিং সিস্টেম না থাকায় মোটরসাইকেল হালকা হয়।
ভালো মাইলেজ: কম শক্তি ব্যবহার হয়, তাই ফুয়েল সাশ্রয় হয়।
দূরবর্তী এলাকায় সুবিধাজনক: জটিল কুলিং সিস্টেম না থাকায় গ্রামীণ বা দূরবর্তী এলাকায় সহজে ব্যবহারযোগ্য।
সীমাবদ্ধতা
শহরের ট্রাফিক বা লম্বা রাইডে ইঞ্জিন গরম হয়ে যেতে পারে।
হাই পারফরম্যান্স বাইক বা স্পোর্টি রাইডের জন্য সীমিত।

ওয়াটার-কুলড বা ওয়েল-কুলড ইঞ্জিন
কাজের পদ্ধতি
ওয়াটার-কুলড ইঞ্জিনে কুল্যান্ট বা তেল ব্যবহার করে ইঞ্জিনের তাপ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কুল্যান্ট ইঞ্জিনের ভিতরে প্রবাহিত হয়ে রেডিয়েটরের মাধ্যমে শীতল হয়ে বাইরের দিকে যায়।
সুবিধা
দীর্ঘ সময় শক্তিশালী পারফরম্যান্স: হাইওয়ে বা দীর্ঘ রাইডেও ইঞ্জিন ঠান্ডা থাকে।
উচ্চ ক্ষমতার ইঞ্জিন: হাই-পারফরম্যান্স বাইক এবং স্পোর্টি রাইডের জন্য উপযুক্ত।
নির্ভরযোগ্যতা: গরমে বা দীর্ঘ সময় চালানোর সময়ও ইঞ্জিন স্থির থাকে।
সীমাবদ্ধতা
রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়বহুল।
মোটরসাইকেল ভারী হয়।
কুলিং সিস্টেমের জন্য কিছুটা ফুয়েল বেশি খরচ হয়।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেলে ক্রুজ কন্ট্রোল ফিচার যেভাবে কাজ করে
শহর বা দৈনন্দিন ছোট দূরত্বের রাইডের জন্য এয়ার-কুলড ইঞ্জিন যথেষ্ট এবং সাশ্রয়ী। লম্বা রাইড বা হাই-পারফরম্যান্স প্রয়োজন হলে ওয়াটার/ওয়েল-কুলড ইঞ্জিন বেশি সুবিধাজনক।
এজেড