অটোমোবাইল ডেস্ক
২২ আগস্ট ২০২৫, ০৫:৩৬ পিএম
মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন সিজ বা জ্যাম হয়ে যাওয়া একটি গুরুতর সমস্যা। সহজভাবে বলতে গেলে, ইঞ্জিনের ভেতরের চলমান অংশগুলো অতিরিক্ত ঘর্ষণ ও তাপের কারণে আটকে গেলে সেটাকেই ইঞ্জিন সিজ বলা হয়। তখন বাইক স্টার্ট হয় না, হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় কিংবা অস্বাভাবিক শব্দ করতে থাকে।
১. তেলজনিত সমস্যা
ইঞ্জিন অয়েল নিয়মিত না বদলালে বা মানসম্মত তেল ব্যবহার না করলে লুব্রিকেশনের ঘাটতি হয়।
তেলের মাত্রা কম থাকলেও চলন্ত অংশে ঘর্ষণ বাড়ে, ফলে ইঞ্জিন সিজ করতে পারে।
২. অতিরিক্ত গরম হওয়া
দীর্ঘ সময় ধরে হাই স্পিডে চালানো বা কুলিং সিস্টেমে সমস্যা থাকলে ইঞ্জিন দ্রুত গরম হয়।
অতিরিক্ত তাপ ধাতব অংশগুলোকে প্রসারিত করে, যা আটকে যাওয়ার কারণ হয়।

৩. ধুলা-বালি ও ময়লা প্রবেশ
এয়ার ফিল্টার নষ্ট হলে বা সময়মতো পরিষ্কার না করলে ধুলোবালি ইঞ্জিনে ঢুকে ক্ষতি করে।
এর ফলে ঘর্ষণ বাড়ে ও যন্ত্রাংশ আটকে যায়।
৪. অতিরিক্ত লোড
বাইকের ক্ষমতার বাইরে ওজন বহন করলে ইঞ্জিনে বাড়তি চাপ পড়ে।
এতে দ্রুত ক্ষয় হয় এবং সিজ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
ইঞ্জিন সিজ হলে করণীয়
জোর করে স্টার্ট দেওয়ার চেষ্টা করবেন না – এতে আরও ক্ষতি হবে।
বাইককে সরাসরি নিকটস্থ অভিজ্ঞ মেকানিক বা সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যান।
প্রয়োজন হলে ইঞ্জিন খুলে মেরামত বা পার্টস পরিবর্তন করতে হতে পারে।
ক্ষতির মাত্রার ওপর নির্ভর করে মেরামতের খরচ অনেক সময় বেশি হতে পারে।

ইঞ্জিন সিজ প্রতিরোধে করণীয়
নির্দিষ্ট সময় অন্তর মানসম্মত ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করুন।
নিয়মিত সার্ভিসিং করুন এবং কুলিং সিস্টেম ঠিক আছে কিনা খেয়াল রাখুন।
এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার রাখুন।
আরও পড়ুন: ক্লাচ ছাড়া মোটরসাইকেলের গিয়ার শিফট করা যায় না কেন?
বাইকের ক্ষমতার বাইরে চাপ দেবেন না।
ইঞ্জিন সিজ একটি ব্যয়বহুল সমস্যা, তাই প্রতিরোধই সর্বোত্তম সমাধান।
এজেড