অটোমোবাইল ডেস্ক
১১ আগস্ট ২০২৫, ১১:০৩ এএম
সড়কে নিরাপদ ও বৈধভাবে মোটরসাইকেল বা গাড়ি চালাতে হলে ড্রাইভিং লাইসেন্স অপরিহার্য। বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে লাইসেন্স পেতে হলে কিছু ধাপ পার হতে হয়।
ধাপ ১: প্রাথমিক প্রস্তুতি
ন্যূনতম বয়স: মোটরসাইকেলের জন্য কমপক্ষে ১৮ বছর, হালকা গাড়ির জন্যও ১৮ বছর, পেশাদার চালকের জন্য ২১ বছর হতে হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি পাস (কিছু ক্ষেত্রে সমমান)।
জাতীয় পরিচয়পত্র: অবশ্যই থাকতে হবে (স্মার্টকার্ড বা অনলাইন এনআইডি কপি)।
ধাপ ২: লার্নার্স পারমিট (প্রশিক্ষণ লাইসেন্স) সংগ্রহ
বিআরটিএ অফিসে বা অনলাইনে আবেদন করুন – www.bsp.brta.gov.bd
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
তিন কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
নির্ধারিত ফি জমার রশিদ
মেডিকেল টেস্ট: দৃষ্টি পরীক্ষা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা (বিআরটিএ অনুমোদিত চিকিৎসকের মাধ্যমে)।
লার্নার্স পারমিটের মেয়াদ: সাধারণত ৩ মাস। এই সময়ে প্র্যাকটিক্যাল ড্রাইভিং অনুশীলন করতে হবে।
ধাপ ৩: ড্রাইভিং টেস্টে অংশগ্রহণ
তত্ত্বীয় পরীক্ষা: ট্রাফিক আইন, রোড সাইন, সিগন্যাল, সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে লিখিত বা কম্পিউটারভিত্তিক পরীক্ষা।

প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা:
মোটরসাইকেলের জন্য স্লো রাইড, ব্রেক টেস্ট, বাঁক নেওয়া ইত্যাদি।
গাড়ির জন্য রিভার্স, প্যারালেল পার্কিং, জিগ-জ্যাগ ড্রাইভ ইত্যাদি।
ধাপ ৪: পূর্ণাঙ্গ লাইসেন্স সংগ্রহ
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে বিআরটিএ আপনার তথ্য যাচাই করে।
নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হয় (লাইসেন্সের ধরন অনুযায়ী ভিন্ন হয়)।
বায়োমেট্রিক তথ্য (ছবি, আঙুলের ছাপ) সংগ্রহ করা হয়।
কিছুদিনের মধ্যে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পাওয়া যাবে।
সতর্কতা ও টিপস
দালালের মাধ্যমে নয়, সরাসরি বিআরটিএ-তে বা অনলাইনে আবেদন করুন।
পরীক্ষার আগে ট্রাফিক আইন ও রোড সাইন ভালোভাবে শিখুন।
প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার জন্য অনুমোদিত ড্রাইভিং স্কুল থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া ভালো।
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে লাইসেন্স নবায়ন করতে ভুলবেন না।
আরও পড়ুন: ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে যা জানা জরুরি
ড্রাইভিং লাইসেন্স কেবল আইনি প্রয়োজনই নয়, এটি সড়কে নিরাপদ চলাচলের নিশ্চয়তা দেয়। সঠিক নিয়মে লাইসেন্স গ্রহণ করলে একদিকে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমে, অন্যদিকে জরিমানা বা আইনি ঝামেলা থেকেও রেহাই পাওয়া যায়।
এজেড