images

অটোমোবাইল

মোটরসাইকেলের চেইনের যত্নে কী করবেন, কী করবেন না

অটোমোবাইল ডেস্ক

১২ জুলাই ২০২৫, ০১:৪২ পিএম

মোটরসাইকেলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো চেইন। এটি ইঞ্জিনের শক্তি চাকা পর্যন্ত পৌঁছাতে সাহায্য করে। চেইন যদি ঠিকমতো পরিচর্যা না করা হয়, তাহলে বাইকের পারফরম্যান্স কমে যায়, শব্দ করে, এমনকি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ে। তাই নিয়মিত যত্ন ও কিছু সতর্কতা মেনে চলা জরুরি।

চলুন জেনে নিই চেইনের যত্নে কী করবেন, আর কী ভুলে করেবেন না।

কী করবেন:

১. নিয়মিত পরিষ্কার করুন

চেইনে ধুলাবালি ও কাদা জমলে তা ক্ষয় করে এবং গতি কমিয়ে দেয়। অন্তত মাসে একবার বা ৫০০-১০০০ কিমি পরপর পরিষ্কার করুন।

২. নির্দিষ্ট চেইন ক্লিনার বা কেরোসিন ব্যবহার করুন

সাধারণ পানি বা হেভি কেমিক্যাল নয়, চেইন পরিষ্কারের জন্য কেরোসিন বা নির্দিষ্ট বাইক চেইন ক্লিনার ব্যবহার করুন। এতে চেইনের গ্রীস বা রিং নষ্ট হবে না।

cahin_pc

৩. পরিষ্কারের পর লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করুন

পরিষ্কারের পর ভালো মানের চেইন লুব (তেল) ব্যবহার করুন। এতে চেইন দীর্ঘস্থায়ী হবে এবং চলার সময় শব্দ হবে না।

৪. চেইনের টেনশন (ঢিলা/টাইট) ঠিকমতো ঠিক করুন

খুব ঢিলে বা বেশি টাইট চেইন — দুইটাই ক্ষতিকর। বাইকের ম্যানুয়ালে দেওয়া অনুযায়ী টেনশন ঠিক করে নিন।

৫. বেশি বৃষ্টির পর অতিরিক্ত যত্ন নিন

বৃষ্টির পানিতে চেইনের তেল ধুয়ে যায়। তাই বর্ষার দিনে একটু বেশি খেয়াল রাখা দরকার।

কী করবেন না:

১. পানি দিয়ে জোরে স্প্রে করবেন না

প্রেশার ওয়াশারে জোরে পানি দিলে চেইনের সিল বা লুব নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

chain

২. রান্নার তেল বা পুরনো মোটর অয়েল ব্যবহার করবেন না

অনেকে ভাবেন যেকোনো তেলই চেইনে দেওয়া যায়। কিন্তু এতে ময়লা আটকে যায় এবং চেইনের ক্ষতি হয়।

৩. চেইন বেশি ঢিলে বা টাইট রাখবেন না

চেইন বেশি টাইট হলে টান পড়ে এবং দ্রুত ছিঁড়ে যেতে পারে। আবার বেশি ঢিলে হলে সেটি চেইন স্পোকেট থেকে পড়ে যেতে পারে।

৪. চেইন একেবারে শুকনা রাখবেন না

লুব্রিকেন্ট ছাড়া চেইন ঘর্ষণে ক্ষয় হয় ও শব্দ করে। বরাবর হালকা তেলযুক্ত রাখুন।

৫. একবার লাগানোর পর লম্বা সময় অবহেলা করবেন না

চেইন পরিষ্কার বা তেল দেওয়া কাজ একবার করেই অনেকেই কয়েক মাস ভুলে যান। এটি মোটরসাইকেলের সামগ্রিক পারফরম্যান্স কমিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন: কেটিএম নতুন অ্যাডভেঞ্চার ক্রুজার বাইক আনল 

চেইনের যত্ন মানে কেবল বাইকের আয়ু বাড়ানোই নয়, বরং নিজেকে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত রাখা। অল্প কিছু সময় ও খরচ দিয়েই আপনি পেতে পারেন ঝামেলামুক্ত এবং দীর্ঘস্থায়ী রাইডিং অভিজ্ঞতা। নিয়মিত যত্ন নিন, সচেতন থাকুন।

এজেড