images

অটোমোবাইল

মাইলেজ বাড়াতে চান? অনুসরণ করুন এই ৭টি অভ্যাস

অটোমোবাইল ডেস্ক

২২ জুন ২০২৫, ১০:২৭ এএম

জ্বালানির দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে গাড়ির বা মোটরসাইকেলের ভালো মাইলেজ পাওয়া মানে অনেকটা সাশ্রয়। শুধু ভালো ব্র্যান্ডের গাড়ি বা বাইক কিনলেই হবে না, এর পেছনের সঠিক ব্যবহারও জরুরি। কিছু সহজ অভ্যাস গড়ে তুললে জ্বালানি খরচ কমানো সম্ভব এবং গাড়ির আয়ু ও কর্মদক্ষতাও বাড়ানো যায়। চলুন জেনে নিই এমনই ৭টি কার্যকর অভ্যাস।

১. সঠিক গিয়ার ব্যবহার করুন

অনেক চালক উচ্চ গতিতে কম গিয়ারে যানবাহন চালান, এতে ইঞ্জিনে বাড়তি চাপ পড়ে এবং জ্বালানি বেশি খরচ হয়। গাড়ি বা বাইকের গতি অনুযায়ী সঠিক গিয়ার ব্যবহার করলে ইঞ্জিন সহজে কাজ করতে পারে, ফলে মাইলেজ বাড়ে।

২. গতি নিয়ন্ত্রণে রাখুন

হঠাৎ বেশি গতি বা বারবার ব্রেক করা জ্বালানি খরচ বাড়ায়। চেষ্টা করুন গতি ৪৫-৬০ কিমি/ঘণ্টার মধ্যে রাখতে এবং ধীরে ধীরে গতি বাড়াতে। এটাই ইঞ্জিনের জন্য সবচেয়ে কার্যকর গতিসীমা।

মাইলেজ২

৩. সঠিক বায়ুচাপ (টায়ার প্রেসার) নিশ্চিত করুন

টায়ারে নির্ধারিত বায়ুচাপ না থাকলে ইঞ্জিনকে বেশি শক্তি খরচ করতে হয়, ফলে ফুয়েল খরচ বাড়ে। মাসে অন্তত একবার টায়ার চেক করুন এবং প্রয়োজনমতো বায়ু ভরুন।

৪. নিয়মিত সার্ভিসিং করান

ইঞ্জিন অয়েল, এয়ার ফিল্টার, স্পার্ক প্লাগ ইত্যাদি নিয়মিত পরিষ্কার ও পরিবর্তন না করলে ইঞ্জিনের দক্ষতা কমে যায়। এতে মাইলেজও কমে। তাই নির্ধারিত সময় অন্তর গাড়ি সার্ভিস করান।

৫. অপ্রয়োজনীয় বোঝা বহন করবেন না

গাড়িতে অতিরিক্ত ওজন থাকলে ইঞ্জিনকে বেশি কাজ করতে হয়। ফলে জ্বালানি খরচ বাড়ে। অপ্রয়োজনীয় জিনিস বা ভারী মালপত্র গাড়ি থেকে সরিয়ে রাখুন।

৬. ইঞ্জিন চালু রেখে দাঁড়িয়ে থাকবেন না

অনেক সময় ট্রাফিক বা অপেক্ষার সময় ইঞ্জিন চালু রেখে দাঁড়িয়ে থাকি। ১ মিনিটের বেশি সময় দাঁড়াতে হলে ইঞ্জিন বন্ধ করে দিন। এতে জ্বালানি সাশ্রয় হয়।

মাইলেজ

৭. প্রিমিয়াম ফুয়েল ব্যবহারে সতর্ক হোন

সব ইঞ্জিনে প্রিমিয়াম ফুয়েল প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন না হলে বেশি অকটেনের ফুয়েল ব্যবহার অর্থহীন এবং ব্যয়বহুল। ইঞ্জিন ম্যানুয়াল পড়ে বুঝে নিন কোন ফুয়েল আপনার যানবাহনের উপযোগী।

আরও পড়ুন: বর্ডারক্রস মোটরসাইকেল কী, এগুলো কেন কেনা উচিত নয়?

জ্বালানির দাম বাড়লেও সচেতন অভ্যাস গড়ে তুললে আপনার গাড়ি বা বাইকের মাইলেজ বাড়ানো সম্ভব। এতে আপনি যেমন খরচ বাঁচাতে পারবেন, তেমনি যানবাহনের আয়ুও দীর্ঘ হবে। এখনই এসব অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং জ্বালানির সাশ্রয় নিশ্চিত করুন।

এজেড