অটোমোবাইল ডেস্ক
১৬ জুন ২০২৫, ১২:০৯ পিএম
মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের একটি সাধারণ সমস্যা হলো ফুয়েল ট্যাংকে মরিচা বা জং ধরা। বাইকের বাইরের অংশ ঝকঝকে থাকলেও ট্যাংকের ভেতরে মরিচা ধরে গেলে তা ইঞ্জিনের পারফরম্যান্সে বিরূপ প্রভাব ফেলে। ট্যাংকে মরিচা ধরা মানে শুধু জ্বালানি নষ্ট হওয়া নয়, বরং পুরো ইঞ্জিনে ক্ষতির শঙ্কা। কেন এমনটা হয়, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ট্যাংকে দীর্ঘদিন জ্বালানি না রাখলে বা ট্যাংক খালি রাখলে তার ভেতরে বাতাস জমে যায়। বাতাসে থাকা আর্দ্রতা ধাতব ট্যাংকের ভেতরের দেয়ালে পানি হিসেবে জমে পড়ে। এই পানিই মরিচার মূল কারণ।
অনেক সময় পেট্রোলের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ পানি মিশে থাকে, যা আমরা চোখে দেখতে পাই না। এই পানি ধাতুর সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় মরিচা তৈরি করে।
ট্যাংকের ঢাকনাটি যদি ঠিকমতো সিল না করে, তাহলে বাইরের বাতাস, পানি বা ধুলা ট্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে। এর ফলে মরিচা দ্রুত গঠিত হয়।
যারা অনেকদিন বাইক চালান না, তাদের ট্যাংকে পেট্রোল কমে গিয়ে ফাঁকা জায়গায় আর্দ্রতা জমে মরিচা তৈরি হয়। আবার ফুয়েলের স্তর নিচে নামলে ওপরে থাকা ধাতব অংশে অক্সিডেশন বাড়ে।

ফুয়েল ফিল্টার ও পাইপে ব্লকেজ
কার্বুরেটর বা ফুয়েল ইনজেকশনে কণা ঢুকে পড়ে
ইঞ্জিন স্টার্ট হতে সমস্যা
ফুয়েল লাইনে জ্যাম
বাইকের পাওয়ার কমে যাওয়া ও বারবার বন্ধ হয়ে যাওয়া
খালি রাখলে অক্সিজেন জমে মরিচা তৈরি করে। তাই প্রয়োজনে বাইকে কিছু পরিমাণ পেট্রোল রেখে দিন।
বিশ্বস্ত পেট্রোল পাম্প থেকে জ্বালানি নিন। প্রয়োজনে পানির অস্তিত্ব পরীক্ষা করুন।
আরও পড়ুন: অকটেন নাকি পেট্রোল— মোটরসাইকেলের জন্য কোন জ্বালানি ভালো?
দীর্ঘদিন বাইক না চালালে মরিচা জমার ঝুঁকি বাড়ে। তাই অন্তত সপ্তাহে একদিন চালানো ভালো।
সঠিকভাবে ক্যাপ লাগানো হচ্ছে কি না তা খেয়াল করুন। সিল বা রাবার রিং নষ্ট হলে তা পরিবর্তন করুন।
মেকানিক বা নিজে ফুয়েল ট্যাংক খালি করে ঝরঝরে করে পরিষ্কার করে নিন। প্রয়োজনে অ্যান্টি-রাস্ট লিকুইড ব্যবহার করতে পারেন।
ফুয়েল ট্যাংকে মরিচা একটি সাধারণ সমস্যা হলেও সচেতনতা ও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে এটি সহজেই প্রতিরোধ করা যায়। বাইক শুধু চালালেই হবে না—সঠিক যত্নই বাইকের দীর্ঘস্থায়ীত্ব নিশ্চিত করে।
এজেড