অটোমোবাইল ডেস্ক
২৫ মে ২০২৫, ০৯:২৮ এএম
মোটরসাইকেল শুধু দৈনন্দিন চলাচলের বাহন নয়, অনেকের কাছে এটি ভ্রমণের এক নির্ভরযোগ্য সঙ্গী। বিশেষ করে তরুণ সমাজের মধ্যে বাইক নিয়ে দূরপাল্লার ট্যুর বা ‘বাইক ট্রিপ’ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে একটানা মোটরসাইকেল চালানো শরীরের উপর চাপ ফেলে এবং যানটির ইঞ্জিনেও প্রভাব পড়ে। তাই মোটরসাইকেল নিয়ে দীর্ঘ ভ্রমণের সময় কত কিলোমিটার পর পর বিরতি নেওয়া উচিত—তা জানা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

চালকের ক্লান্তি দূর করার জন্য: দীর্ঘ সময় এক ভঙ্গিমায় বসে থাকা ও সড়কে সতর্ক মনোযোগ ধরে রাখা শরীর ও মানসিকতার উপর চাপ ফেলে। বিরতি শরীরকে প্রশান্তি দেয় এবং মনোযোগ ফিরিয়ে আনে।
ইঞ্জিনের ওভারহিটিং রোধে: দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হয়ে যেতে পারে। বিরতি দিলে ইঞ্জিন ঠান্ডা হওয়ার সুযোগ পায়।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ওভারহিট হলে কি গতি কমে যায়?
জ্বালানি ও যন্ত্রাংশ পরীক্ষা করার সুযোগ: বিরতির সময় টায়ার, ব্রেক, চেইন, তেল, কুলিং সিস্টেম ইত্যাদি দেখে নেওয়া যায়।
জরুরি প্রয়োজনে প্রস্তুতি: পানীয় গ্রহণ, খাবার খাওয়া, প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেওয়া ইত্যাদি কাজ সুষ্ঠুভাবে করা যায়।

সাধারণভাবে মোটরসাইকেল নিয়ে দীর্ঘ ভ্রমণের সময় প্রতি ৮০–১০০ কিলোমিটার পর পর কমপক্ষে ১০–১৫ মিনিট বিরতি নেওয়া উচিত। তবে এটি কিছু বিষয় অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।
রাস্তাঘাটের অবস্থা: খারাপ বা দুর্গম রাস্তা হলে বেশি ক্লান্তি হয়, তাই ৫০–৭০ কিমি পর পর বিরতি নেওয়া ভালো।
বাইকের ধরন: হেভি ইঞ্জিন বাইক ও লং-রাইড উপযোগী বাইক বেশি দূরত্বে বিরতিহীন চলতে পারে। তবে স্পোর্টস বাইক বা কমফোর্ট ছাড়া বাইকে ঘন ঘন বিরতি জরুরি।
চালকের শারীরিক সামর্থ্য: যাদের দীর্ঘ সময় বসে চালাতে সমস্যা হয়, তাদের প্রতি ৫০ কিমি পরপর বিশ্রাম নেওয়া উচিত।
আবহাওয়া: গরমে বা রোদে চালালে দ্রুত ক্লান্তি আসে। এমন সময় বেশি বিরতি দরকার।

বিশ্রামের সময় হালকা খাবার ও পর্যাপ্ত পানি খাওয়া
স্ট্রেচিং বা হাত-পা একটু চালানো
হেলমেট খুলে মাথা হাওয়া দেওয়া
প্রয়োজন হলে চোখে পানি দেওয়া
বাইকের টায়ার ও ব্রেক পরীক্ষা করা
মোটরসাইকেল ভ্রমণ যতই রোমাঞ্চকর হোক, নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের দিকটি সবসময় অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। প্রতিবার ৮০–১০০ কিলোমিটার পথ চলার পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়া চালকের ক্লান্তি দূর করে, ইঞ্জিনের আয়ু বাড়ায় এবং সামগ্রিকভাবে যাত্রাকে আরও নিরাপদ ও আনন্দদায়ক করে তোলে।
এজেড