অটোমোবাইল ডেস্ক
১৯ মে ২০২৫, ১২:২৯ পিএম
বাংলাদেশে মোটরসাইকেল এখন আর বিলাসিতা নয়— এটা প্রয়োজন। শহর হোক বা মফস্বল, দ্রুত যাতায়াতের জন্য বহু মানুষ প্রতিদিন বাইক ব্যবহার করেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না, একটি মোটরসাইকেল কী পরিমাণ সময় কার্যকর থাকে, বা কতদিন পর সেটিকে চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।
বাংলাদেশে বাইক সংক্রান্ত অভিজ্ঞদের মতে, একটি মোটরসাইকেলের গড় আয়ু ১০ থেকে ১২ বছর। তবে এটি নির্ভর করে একাধিক বিষয়ের ওপর।
যেমন-

যদি একজন ব্যবহারকারী নিয়মিত সার্ভিসিং করেন, ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন, ব্রেক ও চেইন রক্ষণাবেক্ষণ করেন, তবে বাইকটি ১২ বছরের বেশি সময় সচল থাকতে পারে।
বাংলাদেশে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সাধারণত ১০ বছরের জন্য দেওয়া হয়। মেয়াদ শেষ হলে রেজিস্ট্রেশন নবায়ন করতে হয়। তবে বর্তমানে মোটরসাইকেলের নির্দিষ্ট ‘ব্যবহারকাল’ বা ‘চলাচল নিষিদ্ধকাল’ নির্ধারণ করা হয়নি।
এই সব উপসর্গ দেখা দিলে বুঝতে হবে, আপনার বাইকটি কার্যক্ষমতার শেষ ধাপে পৌঁছেছে।

বিক্রি করে দিন: রেজিস্ট্রেশন ও কাগজ ঠিক থাকলে বাইকটি সেকেন্ড হ্যান্ড হিসেবে বিক্রি করতে পারেন।
এক্সচেঞ্জ অফার: কিছু কোম্পানি নতুন বাইক কেনার সময় পুরনো বাইকের বিনিময়ে ছাড় দেয়।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেলের স্পার্ক প্লাগ পরিষ্কার করার নিয়ম
স্ক্র্যাপিং: যদিও বাংলাদেশে এখনও নির্দিষ্ট স্ক্র্যাপিং নীতি নেই, তবে অনেক গ্যারেজ বা পুরাতন যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ী বাইক কিনে থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাইক যত পুরনো হয়, ততই ঝুঁকি বাড়ে—নিরাপত্তার, খরচের, এমনকি পরিবেশ দূষণের। তাই সময়মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।
এজেড