অটোমোবাইল ডেস্ক
০২ মে ২০২৫, ০৪:১১ পিএম
এসি নিয়ে নানান উপদেশ এবং মিথ শোনা গেলেও একটি খুব কমন পরামর্শ শোনা যায় গাড়ির ক্ষেত্রে। যা হল ইঞ্জিন বন্ধ করার আগে এসি অফ করা উচিত। কিন্তু এই ধারণা কি আদৌ সত্যি? প্রত্যেক গাড়ি চালকদের এই বিষয়টি জেনে রাখা দরকার।
আমরা সকলেই জানি এসি পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান তার কমপ্রেসর। অনেকেই বিশ্বাস করেন গাড়িতে এসি চললে তা ইঞ্জিনের উপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে যা একেবারে সত্যি। কারণ এসির কার্যকরীতা অনেকটাই ইঞ্জিনের উপর নির্ভরশীল।
এসি বন্ধ না করে গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ করার প্রবণতা
আগেরকার দিনে গাড়িতে তেমন প্রযুক্তির ব্যবহার ছিল না। তাই এসি বন্ধ না করে ইঞ্জিন বন্ধ করলে তা গাড়ির অন্যান্য যন্ত্রে প্রভাব ফেলত। গাড়ির ব্যাটারি খারাপ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকত। আসলে তখন কার্বুরেটর ব্যবহার করা হত গাড়িতে।

এই কারণে পুরনো গাড়ির ক্ষেত্রে এসি কমপ্রেসর ইঞ্জিনের উপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করত। এই অভ্যাস সার্বিক ভাবে গাড়ির নির্গমনের ক্ষেত্রে বড় পার্থক্য গড়ে দিত। যার ফলে
গাড়িতে রয়েছে ইসিইউ
অন্যদিকে বর্তমান বাজারে যে গাড়িগুলো পাওয়া যায় তাতে রয়েছে ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল ইউনিট (ইসিইউ)। এটির কাজ হল গাড়ির সমস্ত বৈদ্যুতিক যন্ত্রের খেয়াল রাখা। সহজ ভাষায় বললে, এসি চালু অবস্থাতেই যদি কেউ ইঞ্জিন চালু করে তাতে কোনও প্রভাব পড়বে না। কারণ ইসিইউ সমান ভাবে শক্তি বিতরণ করে।
আরও পড়ুন: গাড়িতে কত টনের এসি থাকে?
আধুনিক গাড়িগুলোতে যে ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল ইউনিট থাকে তা গাড়ির শক্তি পরিচালনাকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেয়। তাই গাড়ির ইঞ্জিনে সরাসরি কোনও প্রভাব পড়ে না। পুরনো গাড়ির ক্ষেত্রে ইঞ্জিন বন্ধ করার পরও চলতে থাকতে যার ফলে ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যেত।

বর্তমান গাড়িগুলোর ক্ষেত্রে এই সমস্যা হয় না কারণ পুরোটাই অটোমেটিক থাকে। গাড়ি স্থির অবস্থাতে থাকার সময়ও এসি চলতে থাকে।
আবার ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেলে অটোমেটিক এসিও বন্ধ হয়ে যায়। তাই চিন্তা করার কারণ নেই। তবে এসির প্রয়োজন শেষ হয়ে গেলে তা বন্ধ করে দেওয়াই উচিত। কারণ অত্যধিক ব্যবহারের ফলে ব্যাটারি ড্রেন হতে শুরু করে। যা গাড়ির দীর্ঘায়ুর জন্য ভালো না।
এজেড