অটোমোবাইল ডেস্ক
৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৫ এএম
বিখ্যাত মোটরসাইকেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডুকাতি আনল স্ট্রিট ফাইটার ভার্সন ফোর। মোটরসাইকেলটি দুটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে – স্ট্যান্ডার্ড এবং এস। এস ভ্যারিয়েন্টে আধুনিক ওলিন্স ইলেকট্রনিক সাসপেনশনসহ আরও উন্নত বৈশিষ্ট্য যুক্ত হয়েছে। নতুন ২০২৫ এডিশনের ডুকাতি স্ট্রিট ফাইটার ভার্সন ফোর সম্পূর্ণ নতুন নকশা দেওয়া হয়েছে, যা পেনিগেল ভার্সন ফোরের ওপর ভিত্তি করে তৈরি।
নতুন স্ট্রিট ফাইটার ভার্সন ফোর এর ডিজাইন আগের তুলনায় আরও তীক্ষ্ণ এবং আগ্রাসী। এতে নতুন এলইডি হেডলাইট ক্লাস্টার এবং ডিআরএল রয়েছে। যা পেনিগেল ভার্সন ফোর থেকে নেওয়া হয়েছে। মোটরসাইকেলটির দুই জোড়া উইংস উপস্থিত, যা এর চেহারায় বাড়তি আক্রমণাত্মক ভাব যোগ করেছে।
উপরের উইংসগুলি পেনিগেল ভার্সন ফোরের বাইপ্লেন উইংসের মতো এবং রেডিয়েটর শ্রাউডে আরেকটি জোড়া উইংস যুক্ত করা হয়েছে। এই উইংসগুলো ২৭০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে ৪৫ কেজি ভারসাম্যপূর্ণ চাপ সরবরাহ করতে সক্ষম, যা আগের মডেলের তুলনায় ১৭ কেজি বেশি।
নতুন স্ট্রিট ফাইটার ভার্সন ফোরে রয়েছে ১১০৩ সিসির শক্তিশালী ইঞ্জিন। এতে ৯০ ডিগ্রি ভি৪ ইঞ্জিন, যা ২১৪ বিএইচপি শক্তি উৎপাদন করতে সক্ষম। এটি আগের মডেলের তুলনায় ৬ বিএইচপি বেশি। ইঞ্জিনটি একটি ছয়-গতির গিয়ারবক্স এবং বাই-ডাইরেকশনাল কুইক শিফটারের সঙ্গে যুক্ত।
আরও পড়ুন: ইয়ামাহার এই বাইক দেখলে যে কারো চোখ জুড়াবে
এই মোটরসাইকেলে রয়েছে মাল্টি-লেভেল ট্র্যাকশন কন্ট্রোল, হুইলি কন্ট্রোল, স্লাইড কন্ট্রোল, লঞ্চ কন্ট্রোল এবং ইঞ্জিন ব্রেক কন্ট্রোল। এছাড়া, এতে রয়েছে চারটি রাইড মোড—রেস, স্পোর্ট, রোড এবং ওয়েট। পাশাপাশি চারটি পাওয়ার মোড—ফুল, হাই, মিডিয়াম এবং লো।
এছাড়া, ডুকাতি ভেইকেল অসারর্ভার সিস্টেম যুক্ত হয়েছে, যা রাইডারের নিয়ন্ত্রণ এবং হুইলি কন্ট্রোল সিস্টেমের কার্যকারিতা বাড়ায়। এই বৈশিষ্ট্যগুলো নতুন ৬.৯-ইঞ্চি কালার টিএফটি ডিসপ্লের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
নতুন স্ট্রিট ফাইটার ভার্সন ফোর পেনিগেল ভার্সন ফোরের মতোই সামনের ফ্রেম ব্যবহার করা হয়েছে। স্ট্যান্ডার্ড ভ্যারিয়েন্টে ম্যানুয়ালি অ্যাডজাস্টেবল ৪৩ মিমি শোয়া ফর্ক এবং এসসিএইচএস মনোশক রয়েছে। এস ভ্যারিয়েন্টে রয়েছে ওলিন্স স্মার্ট ইসি ৩.০ ফর্ক এবং টিটিএক্স৩৬ মনোশক, যেগুলো ইলেকট্রনিক্যালি অ্যাডজাস্টেবল।
এস ভ্যারিয়েন্টে নতুন ১৭ ইঞ্চি ফোর্জড হালকা চাকা যুক্ত হয়েছে। ব্রেকিংয়ের জন্য সামনের দিকে ৩৩০ মিমি ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনের দিকে ২৪৫ মিমি ডিস্ক ব্রেক রয়েছে। এছাড়া, রেস ইসিবিএস প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা ভারী ব্রেকিংয়ের সময় বাইকের ভারসাম্য বজায় রাখে।
এজেড