images

অটোমোবাইল

বাইক কেনার সময় যে রঙ ছিল সেটা বদলে অন্য রঙ করানো কি ঠিক?

অটোমোবাইল ডেস্ক

০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৩ এএম

অনেকেই মোটরসাইকেল পুরনো হলে রঙ করান। বাইক কেনার সময় যে রঙ ছিল সেই রঙ বদলে অন্য রঙ করান। স্বাভাবিকভাবেই মনে প্রশ্ন জাগে মোটরবাইকের রঙ বদলানো কি ঠিক? রঙ বদলালে আইনগত ঝামেলায় পড়তে হবে কিনা?

এই প্রশ্নের উত্তর যদি আপনার মনেও থাকে তবে প্রথমেই জেনে নিন, কেনার সময় বাইকে যে রঙ থাকে সেই রঙ বদলে অন্য রঙ করা আইনসিদ্ধ নয়। কেননা, মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন করার সময় রেজিস্ট্রেশন সনদে ইঞ্জিনের ক্ষমতা, চেসিস নম্বর, ইঞ্জিন নম্বর লেখার পাশাপাশি রঙটাও লেখা থাকে। তাই রঙ বদলালে আপনাকে জরিমানার মুখে পড়তে হবে। নিতান্তেই যদি রঙ বদলানো লাগে তবে আইনগতভাবে বিষয়টি সমাধান করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন সনদেও বদল আনতে হবে। অর্থাৎ নতুন করে রেজিস্ট্রেশন সনদ তৈরি করে সেখানে নতুন রঙের বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে। 

bike_color

মোটরসাইকেলের রঙ বদলানো যেমন অপরাধ তেমনি হলার, নতুন ধরনের সাইলেন্সার পাইপ এবং ফেন্সি নম্বর প্লেটও লাগানো যাবেন। বিকট আওয়াজের সাইলেন্সার পাইপ লাগালে পুলিশ তো ধরবেই, পরিবেশ সচেতন নাগরিক সে কাজ করবেনও না।

তবে বাইকের রঙ, আকৃতি বিকৃত না হয় এমন স্টিকার লাগানোই যায়। তবে সেটাই করতে হবে হিসেব করে। না হলে মামলা আসন্ন। 

আরও পড়ুন: হেডলাইটের লো বিম ও হাই বিমের কাজ কী জানেন না বেশিরভাগ মানুষ

মোটরসাইকেলের রঙ বদলালে যে কাজটি করতে হবে

– সবার প্রথমে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটসহ কাছাকাছি বিআরটিএ এর অফিসে গিয়ে বাইকে যে রঙ করানোর ইচ্ছা, কালার স্যাম্পল থেকে তা বেছে নিতে হবে।

– অফিস থেকে নিয়ে বা অনলাইনে ডাউনলোড করা রঙ বদলানোর ফর্ম ফিল আপ করে জমা দিতে হবে।

paint

– বিআরটিএ বাইকের বর্তমান রঙ দেখবে এবং ফর্মে সই করে লিখিত অনুমতি দেবে।

– এবার যে কালার স্যাম্পল জমা করা হয়েছে, যার অনুমতি মিলেছে, বাইকে সেই রঙ করানো যায়।

– পরের ধাপে সব দরকারি কাগজপত্র সহ নতুন রঙ করা বাইক আবার নিয়ে যেতে হবে বিআরটিএ অফিসে। ভেরিফিকেশনের পর সেই তথ্য খাতায় তোলা হবে। একমাত্র তার পরেই নতুন রঙ করা বাইক রাস্তায় নামানো যাবে।

এজেড