images

অটোমোবাইল

এই নিয়মে মোটরসাইকেলের গিয়ার বদলালে মাইলেজ বাড়বে বহুগুণ

অটোমোবাইল ডেস্ক

২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৩ এএম

গাড়ির মতো মোটরসাইকেলেও গিয়ার বক্স থাকে। যা সংযুক্ত থাকে শিফটারের সঙ্গে। এই গিয়ার শিফটিংয়ের মাধ্যমেই বাইকে গতি আসে। সঠিক নিয়মে গিয়ার শিফটিং করলে স্মুথ রাইডিং উপভোগ করা যায়। পাশাপাশি বাড়ে মাইলেজও।

প্রথমেই জেনে রাখুন, বাইক চালানোর সময় গিয়ারের সঠিক ব্যবহার শুধু মাইলেজই বাড়ায় না, রাইডিংকে নিরাপদ ও আনন্দদায়ক করে তোলে। বাইকের গিয়ার সঠিক উপায়ে ব্যবহার করলে বাড়ে সেই বাইকের মাইলেজ। তবে তার জন্য বাইকের গিয়ার লাগানোর সঠিক উপায় জানা প্রয়োজন।

ক্লাচের সঠিক ব্যবহার

গিয়ার পরিবর্তন করার সময় সর্বদা ক্লাচ সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করা উচিত। অর্ধেক ক্লাচ চেপে গিয়ার পরিবর্তন করলে ক্ষতি হতে পারে। গিয়ার বদলানোর আগে, ক্লাচ পুরো চেপে তবেই গিয়ার বদলান। তারপরে ধীরে ধীরে গিয়ার ছেড়ে দিন।

gear_pc2

সঠিক গিয়ার নির্বাচন 

গতি অনুযায়ী সঠিক গিয়ার নির্বাচন করতে হবে। খুব কম আরপিএম-এ উচ্চ গিয়ারে স্থানান্তরিত হলে ইঞ্জিনের ওপর চাপ পড়ে এবং মাইলেজ কমে যায়। আবার খুব বেশি আরপিএম-এ নিম্ন গিয়ারে স্থানান্তরিত করলেও ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হয়ে যায় এবং গাড়ি বেশি ঘষা খায়। তাই সেই ক্ষেত্রেও মাইলেজ কমে।

আরও পড়ুন: মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনে তেল ভরতে অনেকেই এই ভুলটি করেন

গিয়ার পরিবর্তনের সময়

দ্রুত গতি বাড়াতে একটি নিম্ন গিয়ারে স্থানান্তর করা উচিত। গতি কমাতে একটি উচ্চ গিয়ারে যাওয়া উচিত। সমতল রাস্তায় গাড়ি চালালে, প্রায় ২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে দ্বিতীয় গিয়ার, ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে তৃতীয় গিয়ার এবং ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে চতুর্থ গিয়ার ব্যবহার করা উচিত।

gear-pic

এছাড়াও কী মাথায় রাখবেন?

গিয়ার পরিবর্তন করার সময় এক্সিলারেটর সামান্য চেপা উচিত। হঠাৎ গিয়ার পরিবর্তন করাও উচিত নয়। ঢালু রাস্তায় কম গিয়ারে বাইক চালাতে হবে। লাল আলোতে নিউট্রাল গিয়ারে রাখতে হবে।

বাইক নিয়মিত সার্ভিসিং করান। প্রয়োজনে ক্লাচ, গিয়ার এবং এক্সিলারেটর তার বদলাতে হবে। সঠিক বায়ুচাপ সহ টায়ার ব্যবহার করতে হবে।

এজেড