অটোমোবাইল ডেস্ক
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১২ পিএম
ঝা চকচকে বাইক বা গাড়ি দেখতে ভালো লাগে। কোনও ধুলা, ময়লা নেই। আলো যেন ঠিকরে বের হচ্ছে। এর জন্য গাড়ি বা বাইক নিয়মিত ধোয়া প্রয়োজন। কিন্তু ‘নিয়মিত’ মানে কতদিন অন্তর? প্রতিদিন, এক সপ্তাহ অন্তর না কি মাসে একবার?
এই প্রশ্নের কোনও সঠিক উত্তর নেই। যে এলাকায় গাড়ি চলে, সেখানকার আবহাওয়া, রাস্তার অবস্থা ইত্যাদির উপর নির্ভর করে। টেক্সাসের ‘ব্রেকস টু গো’-র সহ প্রতিষ্ঠাতা জোনাথন গ্যান্থার বলছেন, গাড়ি নির্দিষ্ট সময় অন্তর নিয়মিত ধোয়া উচিত। দুইবার ধোয়ার মধ্যে ব্যবধান খুব বেশি হলে চলবে না।

কেন? গাড়ি কম ধোয়ামোছা করলে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে। কারণ রাস্তার ময়লা, কাদা, পিচ, পাখির মল, সবকিছু সহ্য করে গাড়ি। এগুলো গাড়ির রঙে প্রভাব ফেলে। সিল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধাতুতে মরচে ধরে। তাই নিয়মিত ধোয়ামোছা করলে গাড়ির কন্ডিশন ভালো থাকে।
রুক্ষ আবহাওয়ায় প্রতি দুই সপ্তাহ অন্তর একবার গাড়ি ধোয়া উচিত। এতে গাড়িকে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবার ক্লিনিং সেশনের পর মোমের কোট দিলে গাড়ি ভালো থাকে। ধুতেও কম হয়।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেল কত দিন পরপর সার্ভিসিং করা উচিত?
তবে শুধু বাইরে নয়, গাড়ির ভেতরও পরিস্কার করা উচিত। কারণ ভেতরেও ময়লা পড়ে, ধুলা জমে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চা থাকলে গাড়ির ভেতর খুব ভালো করে পরিস্কার করা উচিত। গ্যান্থার বলছেন, সিটে সিরামিকের কোট দেওয়া উচিত। এতে দাগ পড়বে না। জমবে না ধুলোও।

শীতে কত দিন পরপর বাইক-গাড়ি ধোয়া উচিত?
শীতে বেশি করে গাড়ির যত্ন নিতে হয়। এই সময় গাড়ি ঘনঘন ধোয়ামোছা করা উচিত, এমনটাই বলছেন গ্যান্থার। তিনি বলছেন, পুরোটাই আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে।
শীতে লবণ এবং বরফ গাড়ির রঙে প্রভাব ফেলে। দ্রুত মরচে পড়ে যায়। এই সময় আন্ডারক্যারেজকে রক্ষা করতে ঘনঘন গাড়ি ধুতে হবে।
তবে চার চাকার ক্ষেত্রে এমনটা হলেও দুই চাকার ক্ষেত্রে কিন্তু নিয়ম আলাদা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিন, চারদিন অন্তর বা সপ্তাহে একবার নয়, চালক যেদিন বাইক নিয়ে বের হবেন, সেদিন ফেরার পর অবশ্যই বাইক ধুতে হবে। বাইক ভালো রাখতে গেলে এই নিয়ম মানতে হবে অক্ষরে অক্ষরে।
এজেড