images

অটোমোবাইল

নতুন বাইক ৫০০ কিমি চালিয়েছেন? এই কাজটি এখনই করুন

অটোমোবাইল ডেস্ক

১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ এএম

ছোটখাটো ভুলের জেরে নতুন বাইকও অনেক সময় বিকল হয়ে যায়। নতুন বাইকের ক্ষেত্রে কী সেই ভুল? অনেকেই জানেন না যে, নির্দিষ্ট সময় অন্তর বাইকের ইঞ্জিন অয়েল বদলাতে হয়। না হলে মসৃণ গতিতে চলবে না আপনার প্রিয় বাইকটি।

অনেকেই জানেন না যে, নির্দিষ্ট সময় অন্তর বাইকের ইঞ্জিন অয়েল বদলাতে হয়। বিশেষ করে নতুন বাইকের ক্ষেত্রে। কোম্পানি বলেই দেয়, নতুন বাইক ৫০০ কিলোমিটার চালানো পর অবশ্যই ইঞ্জিন অয়েল বদলাতে হবে। কেন এটা করা জরুরি?

কেন প্রতি ৫০০ কিলোমিটারে ইঞ্জিন অয়েল বদলাতে হয়?

নতুন বাইক কেনার সময় ইউজার ম্যানুয়ালেই লেখা থাকে, ৫০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার চালানোর পরে ইঞ্জিন অয়েল পাল্টাতে হবে। কিন্তু মাত্র ৫০০ কিলোমিটার চালানোর পরেই কোম্পানি কেন ইঞ্জিন অয়েল বদলাতে বলে?  তা-ও আবার নতুন বাইকের?

oil

কোম্পানি কি ইঞ্জিন অয়েল বিক্রি করে চালকের থেকে মুনাফা করতে চায়? না কি এটাও এক ধরনের জালিয়াতি?

না, ব্যাপারটা মোটেই এরকম নয়। ইঞ্জিন অয়েল বিক্রি করে টাকা কামানোর ভাবনা বাইক কোম্পানিগুলো করে না। তাছাড়া এটা কোনও জালিয়াতি বা কেলেঙ্কারিও নয়। আসলে নতুন বাইকের ইঞ্জিনের কম্পোনেন্টস বা উপাদান সেট হতে কিছুটা সময় লাগে।

বাইক চালানোর সময় এই উপাদানগুলোর একে অপরের মধ্যে ঘর্ষণ হয়। এর ফলে ধাতুর মাইক্রোস্কোপিক কণাগুলো ইঞ্জিন অয়েলে দ্রবীভূত হয়ে যায়। কিন্তু সেগুলো ইঞ্জিন থেকে বের করে দেওয়াটা জরুরি।

আরও পড়ুন: মোটরসাইকেল থামাতে প্রথমে ব্রেক নাকি ক্লাচ চাপবেন?

এই ধাতব কণা দীর্ঘ সময় ইঞ্জিনে থাকলে পিস্টন বা অন্যান্য অংশের ক্ষতি করতে পারে। এই কারণেই বাইক কোম্পানিগুলো ৫০০ কিলোমিটার বা ৩০ দিন পর নতুন বাইকের ইঞ্জিন অয়েল পাল্টানোর পরামর্শ দেয়।

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইঞ্জিন অয়েল না পাল্টালে বাইকের নানা ক্ষতি হতে পারে। হয়তো তৎক্ষণাৎ ইঞ্জিনে কোনও সমস্যা হল না। কিন্তু কিছু সময় পর পিস্টনের দেওয়াল বা ক্লাচপ্লেট নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফলে বাইক বিকল হয়ে যাবে। তখন ইঞ্জিন খুলে ইঞ্জিনের সেই সব উপাদান বার করতে হবে। এর খরচ অনেক।

এজেড