images

অটোমোবাইল

পেট্রোল আসল নাকি নকল বুঝবেন যেভাবে

অটোমোবাইল ডেস্ক

২০ আগস্ট ২০২৪, ১২:১৫ পিএম

যারা গাড়ি কিংবা মোটরবাইক চালান তারা জানেন জ্বালানি তেল কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এই জ্বালানির ওপর নির্ভর করে মাইলেজ এবং ইঞ্জিনের স্থায়ীত্ব। তাই পেট্রোল আসল নাকি নকল তা শনাক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ নকল পেট্রোল গাড়ি ও বাইকের ইঞ্জিনের ক্ষতি করতে পারে। 

নকল পেট্রোলে প্রায়ই ক্ষতিকারক ভেজাল থাকে, যা ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা হ্রাস করতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। আসল এবং নকল পেট্রোল শনাক্ত করার কিছু উপায় এখানে দেওয়া হল।

feul

১. গন্ধ শুঁকে পেট্রোল চিনুন

আসল পেট্রোলের গন্ধ কড়া এবং স্বতন্ত্র। নকল পেট্রোলে অন্যান্য ক্ষতিকারক পদার্থের ভেজালের কারণে এর গন্ধ কিছুটা আলাদা এবং হালকা হতে পারে। পেট্রোলের গন্ধ যদি স্বাভাবিকের থেকে আলাদা বলে মনে হয়, তাহলে তা নকল হওয়ার লক্ষণ হিসেবে ধরা যেতে পারে।

২. পানিতে ঢেলে পরীক্ষা

পানিতে অল্প পরিমাণ পেট্রোল ঢালতে হবে। আসল পেট্রোল পানিতে ভাসবে এবং এক্ষেত্রে তা ভেজাল নয় বুঝতে হবে। যদি পেট্রোল পানিতে মিশে যায় বা এর রঙ পরিবর্তন হতে শুরু করে তাহলে তা নকল হতে পারে।

petrol

৩. কাগজে পরীক্ষা 

একটি সাদা কাগজে কয়েক ফোঁটা পেট্রোল ঢালতে হবে এবং শুকোতে দিতে হবে। আসল পেট্রোল সম্পূর্ণরূপে বাষ্পীভূত হয় এবং কোনও ট্রেস ছেড়ে যায় না। নকল পেট্রোল শুকানোর পর কাগজে তেলের মতো দাগ ফেলে যেতে পারে, যা ভেজালের লক্ষণ।

৪. পেট্রোলের রঙ পর্যবেক্ষণ

আসল পেট্রল হালকা হলুদ রঙের হয় বা কখনও কখনও সম্পূর্ণ বর্ণহীন। পেট্রোলের রঙ গাঢ় হলে বা অন্য কোনও রঙের হলে তা নকল হতে পারে।

fuel-pic

৫. দহন পরীক্ষা

একটি ধাতব পাত্রে অল্প পরিমাণ পেট্রোল রেখে এটি পোড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। আসল পেট্রোল পুরোপুরি পুড়ে সাদা ধোঁয়া তৈরি করবে। নকল পেট্রোল পোড়ার সময় কালো ধোঁয়া নির্গত হতে পারে বা পুরোপুরি পুড়ে নাও যেতে পারে।

৬. গাড়ির কর্মক্ষমতা

যদি পেট্রোল ভর্তি করার পরে গাড়ির কর্মক্ষমতা হ্রাস লক্ষ্য করা যায়, যেমন ইঞ্জিন মাঝে মাঝে আটকানো, মাইলেজ হ্রাস বা ইঞ্জিন দ্রুত গরম হয়ে যাওয়া, তাহলে এটি নকল পেট্রোলের লক্ষণ হতে পারে।

আরও পড়ুন: যেভাবে বুঝবেন পেট্রোল পাম্প তেল চুরি করছে

৭. শুধুমাত্র নির্ভরযোগ্য পেট্রল পাম্প থেকে পেট্রোল কিনুন

সর্বদা শুধুমাত্র নির্ভরযোগ্য পেট্রোল পাম্প থেকে পেট্রোল কিনতে হবে। অসমর্থিত বা অজানা পেট্রোল পাম্প এড়িয়ে চলতে হবে, যেখানে নকল পেট্রোল পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে আসল এবং নকল পেট্রোল শনাক্ত করা যেতে পারে। নকল পেট্রোল ব্যবহার করা এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এটি গাড়ির ইঞ্জিনের আয়ু কমিয়ে দিতে পারে এবং বিশাল মেরামতের খরচের কারণ হয়ে উঠতে পারে। একই সঙ্গে গাড়ি ও বাইকের মাইলেজও কম পাবেন। 

এজেড