অটোমোবাইল ডেস্ক
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৮ এএম
কোম্পানির ২৫ বছর উপলক্ষে সুজুকি হায়াবুসার অ্যানিভার্সারি এডিশন লঞ্চ হল। ভারতে এই বাইক লঞ্চ করা হয়েছে মঙ্গলবার। অরেঞ্জ এবং ব্ল্যাক কালার সঙ্গে থ্রিডি সুজুকি লোগো এই বাইকের বিশেষত্ব। সুজুকি হায়াবুসা একটি প্রিমিয়াম সুপারবাইক। যা ভারতে বহু বছর ধরে বিক্রি হচ্ছে।
১৯৯৮ সালে প্রথম লঞ্চ হয় সুজুকি হায়াবুসা। জার্মানিতে বাইকের প্রথম সংস্করণ প্রকাশ পায়। তারপর কেটে গিয়েছে ২৫টা বছর। আজও দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে বাইকের জনপ্রিয়তা। অনেকেরই প্রিয় বাইক সুজুকি হায়াবুসা। দেশের বাজারে বাইকের প্রতি এক আলাদাই আকর্ষণ রয়েছে মানুষের। এদিন ২৫ বছর উপলক্ষে সুজুকি হায়াবুসা অ্যানিভার্সারি এডিশন লঞ্চ করল সংস্থা।
আরও পড়ুন: ইয়ামাহার এই স্মার্ট স্কুটার চালাতে চাবি লাগবে না
এই এডিশনে অরেঞ্জ এবং ব্ল্যাক কালারের পেইন্ট স্কিম যোগ করা হয়েছে। সঙ্গে চকচকে থ্রিডি সুজুকি লোগো। ২৫তম এডিশনের দাম রাখা হয়েছে ভারতে ১৭ লাক ৭০ হাজার রুপি।
এই বাইকের প্রথম প্রজন্ম বিক্রি হয় ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত। ২০০৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিক্রি হয় দ্বিতীয় প্রজন্ম। শুরুর দিকে অন্য কোনও বাইক সুজুকি হায়াবুসার গতির রেকর্ড ভাঙতে পারেনি। জাপানেরই আর এক জনপ্রিয় বাইক কাওয়াসাকি নিনজা জেডিএক্স-১২আর মডেলকে টেক্কা দিত এই সুপারবাইক। জাপানের পাশাপাশি ইউরোপে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে হায়াবুসা।
নতুন সুজুকি হায়াবুসাতে নতুন কী থাকছে?
যে অ্যানিভার্সারি এডিশন লঞ্চ করা হয়েছে তাতে রয়েছে সোনালি ড্রাইভ চেইন সঙ্গে ফ্রন্ট ডিস্ক মোটর। যে থ্রিডি লোগো বানিয়েছে সুজুকি তা বাইকের ফুয়েল ট্যাংকের উপর যোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে তার ছাপ রয়েছে বাইকের এক্সহস্ট ক্যানিস্টারেও। ড্রাইভ চেইনে রয়েছে হায়াবুসা কাঞ্জি লোগো।
নতুন হায়াবুসা বাইকের ইঞ্জিন ও স্পেসিফিকেশন
২৫ বছর উপলক্ষে শুধুমাত্র বাইকের ডিজাইনে বদল এনেছে সংস্থা। ইঞ্জিন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশে কোনও নতুন ফিচার যোগ হয়নি। এতে রয়েছে ১৩৪০ সিসির ৪ সিলিন্ডার ইঞ্জিন। যা সর্বোচ্চ ১৪০ হর্সপাওয়ার এবং ১৪২ এনএম টর্ক তৈরি করতে পারে সঙ্গে ৬ স্পিড গিয়ারবক্স।
সুজুকি হায়াবুসার সর্বোচ্চ গতি ২৯৯ থেকে ৩১২ কিমি প্রতি ঘণ্টা। এটি ভারতের সবথেকে দ্রুতগামী বাইকগুলোর মধ্যে একটি। এছাড়াও এতে রয়েছে সুজুকি ইন্টেলিজেন্ট রাইড সিস্টেম, ট্র্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম এবং বাই-ডাইরেকশনাল কুইকশিফটার।
২০ লিটার ফুয়েল ক্যাপাসিটি রয়েছে বাইকে। কার্ব ওয়েট ২৬৬ কেজি। মাইলেজ দিতে পারে ১৮ কিমি প্রতি লিটার। ফিচার্স রয়েছে সেমি-ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট কনসোল, ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি এবং এলইডি লাইটিং। এতে জিপিএস/নেভিগেশন, ইউএসবি চার্জিং পোর্ট, ক্রূজ কন্ট্রোল এবং রাইডিং মোডের সুবিধাও রয়েছে।
এজেড