images

অটোমোবাইল

গাড়িতে ভালো মাইলেজ পেতে টায়ার প্রেসার কত রাখবেন?

অটোমোবাইল ডেস্ক

২৩ জুলাই ২০২৩, ০৪:১৫ পিএম

গাড়ির টায়ারে সঠিক বাতাসের প্রেসার যেমন মাইলেজ বাড়ায়, তেমনি চালক ও আরোহীদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করে। এছাড়াও সঠিক পরিমানে হাওয়া থাকলে টায়ারের আয়ুও বাড়ে। তাই গাড়ি চালকদের বারবার টায়ারের এয়ার প্রেশার যাচাই করার কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা।

বাঙালিরা তখনই গাড়ির টায়ার যাচাই করে যখন সেটির কার্যকারীতা কমে যায় বা পাংচার হয়ে যায়। এমনকি অন্য কেউ এসে যখন পরামর্শ দেয় তারপর। কিন্তু এই প্রবণতা একদমই ভালো না বলে মনে করে টায়ার প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলো।

tyreকী কী কারণে টায়ারের বাতাসে চাপ যাচাই করা জরুরি?

টায়ারের ভিতরে যদি তীব্র চাপ তৈরি হয় তাহলে পাংচার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

পাশাপাশি বাতাসের চাপ কম থাকলে টায়ারের গঠনে পরিবর্তন আসতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সাইড ওয়ালগুলো, যে কারণে রাস্তায় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।

এক বা একাধিক টায়ারে যদি ভুল বাতাসের চাপ থাকে তাহলে সাসপেনশন চাপ সৃষ্টি করে। ফলে হ্যান্ডলিং সংক্রান্ত সমস্যা তৈরি করে।

এই সময় গর্ত বা অনুর্বর রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালালে রিমগুলি ক্ষতি হতে পারে।

কম বায়ুচাপ থাকলে হাইওয়ে রাস্তায় দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর সময় আচমকাই ফেটে যেতে পারে।

carএয়ার প্রেশার চেক

হ্যাচব্যাক বা মিডসাইজ সেডানগুলোর এয়ার প্রেশার থাকা উচিত ৩২-৩৫ পিএসআই/কোল্ড। এই কোল্ড মানে গাড়ির চাকা যখন ২-৩ ঘণ্টা ধরে পার্ক করা থাকে। এছাড়া আপনি গাড়ির ম্যানুয়াল থেকেও সঠিক এয়ার প্রেশার যাচাই করতে পারেন।

অটোমোবাইল বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন প্রথমবার গাড়ি চালানোর আগে বাতাসের চাপ পরীক্ষা করা উচিত। এ ক্ষেত্রে একটি কার্যকরী যন্ত্র টায়ার প্রেশার গজ। প্রতিটি গাড়ির মডেলের জন্য একটি প্রস্তাবিত এয়ার প্রেশার রয়েছে।

আপনার গাড়িতে সঠিক বাতাসের চাপ রয়েছে কিনা নিশ্চিত করতে এই যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে তিন ধরনের বায়ুচাপ পরিমাপক আছে- ডায়াল স্টপ, স্টিক স্টপ এবং ডিজিটাল। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইন থেকেও এই যন্ত্রটি কেনা যায়।

বর্তমানে আধুনিক গাড়িগুলো ইনবিল্ট টায়ার প্রেশার মনিটরিং সিস্টেমের সঙ্গে আসে। ফলে আলাদা করে আপনাকে কোনও যন্ত্র কিনতে হবে না। তবে সঠিক এয়ার প্রেশার মনে চলতে হবে।

এ ছাড়া কোন যন্ত্র ছাড়াই গাড়ি চালানোর সময় বা রাস্তায় বাঁক নেওয়ার সময় যদি মনে গাড়িটি অস্থির অনুভূত হয় তাহলে অবশ্যই এয়ার প্রেশার যাচাই করতে হবে। পাশাপাশি গাড়ির ভিতর যদি এনভিএইচ মাত্রা বৃদ্ধি পায় তাহলেই চাকাটি পরীক্ষা করা উচিত।

এজেড