নিজস্ব প্রতিবেদক
১৪ মে ২০২৩, ০১:১১ পিএম
বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ। বিকেল তিনটা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ উপকূলে তাণ্ডব চালানোর পর দুর্বল হয়ে যাবে। সন্ধ্যার পর বাংলাদেশ অতিক্রম করবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান।
রোববার (১৪ মে) সকাল ১১টায় আবহাওয়া অধিদফতরে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন তিনি।
আজিজুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার পিক আওয়ার হবে দুপুর ১২টা থেকে ২টা। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ অংশে আঘাত হবে। এর মধ্যে দুপুর ১২টা নাগাদ এটি সেন্টমার্টিনে আঘাত হানবে।
ইতোমধ্যে বঙ্গোপসাগর, নাফ নদী এবং সংলগ্ন নদীগুলোতে জোয়ার শুরু হয়েছে, এবং বিকাল চারটা নাগাদ জোয়ারের তীব্রতা বাড়বে। এ সময়ে আট থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। তবে জলাবদ্ধতা বা পানি জমে থাকবে না বলে জানান তিনি।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক বলেন, বিকেল চারটার পর থেকে মোখা দুর্বল হতে শুরু করবে এবং সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা কমবে।
আজিজুর রহমান আরও বলেন, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার মূল কেন্দ্রটি টেকনাফের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূর দিয়ে যাচ্ছে। এতে করে ঝুঁকির যে আশঙ্কা করা হয়েছে তা কমে আসছে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করার সময় দুর্বল হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, এ সময়ে দ্রুত বেগে জলোচ্ছ্বাস প্রবাহিত হবে। তখন ঘণ্টায় ১২০-১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। যা বর্তমানে (সাড়ে দশটায়) প্রতি ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাচ্ছে।
আজিজুর রহমান আরও বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি জলোচ্ছ্বাসের মাত্রা যদি ৮ থেকে ১২ ফুট পর্যন্ত হয়, তাহলে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা থাকবে। তবে পর্যায়ক্রমে তা কেটে যাবে।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের মূল কেন্দ্র সেন্টমার্টিনের খুব কাছে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টির বড় অংশ সেন্টমার্টিনে এখন প্রভাব ফেলছে। বিকেলের মধ্যে এটি বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।’
টিএই/এমআর