images

কৃষি ও পরিবেশ

আরও এগিয়ে এসেছে ‘মোখা’

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ মে ২০২৩, ০৭:৩৫ এএম

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা শক্তি বাড়িয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে। এখন উপকূল থেকে চার শ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছে ঘূর্ণিঝড়টি। চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে ইতোমধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ রোববার (১৪ মে) সকাল নয়টা থেকে তিনটার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে সংস্থাটি। এছাড়া চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৮ নম্বর বিপদ সংকেত রয়েছে।

ঢাকা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে রোববার (১৪ মে) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

আগে আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে মোখার আঘাত হানার কথা বলা হলেও এখন সেই সময় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা বলা হচ্ছে।

সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হয়ে গেছে। বাতাসের গতিবেগ বেড়ে এখন ১৯০ থেকে ২১০ কিলোমিটার।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক কয়েকটি সংস্থার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঝড়টি সুপার সাইক্লোনে রূপ নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির চারপাশে বাতাসের ঘূর্ণন গতি ২২০ কিলোমিটারের বেশি। সে শক্তি নিয়েই বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে মোখা।

আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলের যত কাছাকাছি আসতে থাকবে, সেটির অগ্রসর হওয়ার গতি আরও বাড়তে থাকবে। তখন সেটি ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে এগোতে পারে।

মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। রাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হচ্ছে, যা এখনো থেমে থেমে চলছে।

সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। উপকূলে স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট জোয়ারের পানি বেড়েছে। দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে হালকা বাতাস শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখা থেকে রক্ষা করতে কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জেলার উপকূলের কয়েক লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় বহু মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।

কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার পরপরই ঝুঁকিতে থাকা লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে যান। গতরাতেও অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে যান।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, গত শনিবার সকাল থেকেই জেলার ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দিয়ে আশ্রয় নেওয়ার পরিবেশ করে দেওয়া হয়েছে।

এমআর