নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ মে ২০২৩, ০৯:৩০ পিএম
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসহ হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রূপে একই এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় (১২ দশমিক ১ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে আগামীকাল শুক্রবার (১২ মে) সকাল পর্যন্ত উত্তর দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও আরও ঘনীভূত হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া আগামী ৪৮ ঘণ্টায় তাপপ্রবাহ হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি বর্ধিত পাঁচ দিনে সারাদেশে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপ ১৫ ফুটের উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ। বৃহস্পতিবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন তিনি।
পোস্টে আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক এই পিএইচডি গবেষক লিখেছেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের উপর দিয়ে ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৫০ কিলোমিটারের বাতাস বেয়ে যাওয়ার ও ১০ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এই দ্বীপের সকল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দোকানের মালামাল দোকানে রাখলে সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, একইভাবে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী দ্বীপের উপর দিয়ে ১০০ থেকে ১৩০ কিলোমিটারের বাতাস বেয়ে যাওয়ার ও ১০ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিবেগের বাতাসের কারণে শরণার্থী শিবিরগুলোর ঘরের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি কক্সবাজার জেলার উপর ২০০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধ্বসের প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
/আইএইচ