নিজস্ব প্রতিবেদক
০৯ মে ২০২৩, ০৫:৫৯ পিএম
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি প্রবল শক্তি সঞ্চার করে রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। এর গতিপথ ও শক্তির দিকে নজর রাখছে বাংলাদেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া অফিস। বাতাসের গতি-প্রকৃতি বিষয়ক ওয়েবসাইট উইন্ডি ডটকমও ঘূর্ণিঝড় মোখাকেন্দ্রিক পূর্বাভাস জানিয়ে আসছে।
উইন্ডির তথ্য বলছে, মোখা এখনো ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়নি। বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় এটি অবস্থান করছে। তবে বুধবার (১০ মে) এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে মোখা এগিয়ে আসবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তের দিকে। যার অবস্থান হবে বাংলাদেশের খুলনা জেলার ঠিক দক্ষিণে। তবে বাংলাদেশের দিকে এটি যখন এগিয়ে আসবে, তখন আরও কিছুটা পশ্চিমে সরে যেতে পারে বলেও জানিয়েছে বাতাসের গতি-প্রকৃতি বিষয়ক ওয়েবসাইটটি।
পরবর্তীতে ১৩ মে বিকেলের পর ঘূর্ণিঝড় মোখা সরে আসবে পূর্ব দিকে। ওই সময়ে ঘূর্ণিঝড়টির কবলে পড়তে পারে দেশের সর্বদক্ষিণের দ্বীপ সেন্টমার্টিন। সেই সঙ্গে তীব্র আঘাত হানতে পারে ভাসানচরেও। বিভিন্ন আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ওই সময়ে বাতাসের একটানা গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় প্রায় ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার।
পরদিন ১৪ মে বিকেলে বাংলাদেশের কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও মিয়ানমারের রাখাইন উপকূল অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। আবহাওয়া অধিদফতরের অনুমান, ঝড়ের যে গতি তা যদি বজায় থাকে, তবে বড় আঘাত আসতে পারে উপকূলে।
এদিকে, ভারতের আবহাওয়া অফিসের ভাষ্য- বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি মঙ্গলবারের (৯ মে) মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পাশাপাশি আগামীকাল বুধবারের (১০ মে) মধ্যে এটি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগর সংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। পরদিন বৃহস্পতিবার (১১ মে) পর্যন্ত উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে পৌঁছাতে পারে। পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে বাঁক নিতে পারে। তবে এটি উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশে মোখার প্রভাব বেশ জোরালোভাবে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ। তার ভাষ্য, আগামী রোববার (১৪ মে) সকাল ৬টার পর থেকে ১৫ মে সকাল ৬টার মধ্যে ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার বেগে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু জেলার ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোখা।
কারই/আইএইচ