জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০১:৫৪ পিএম
সৃষ্টিকর্তা ‘গজব' না দিলে দেশে খাদ্য সংকটের কোনো সুযোগই নেই বলে মনে করছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। সেই সঙ্গে খরার কারণে আমনের ফলন নিয়ে শঙ্কা থাকলেও এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ডিসিদের সেশনের পর সাংবাদিকদের সামনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না, হওয়ার কোনো চান্স নাই, যদি আল্লাহ নিজের হাতে গজব না দেয়। সামনের বোরো আবাদ হচ্ছে, বোরোর আবাদও মানুষ পাগলের মত করছে। বোরো ফলনও ভালো হবে যেখানে ১৫-১৬ মণ হত, সেখানে এবার ২০-২৫ মণ হবে।'
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'সংগ্রহ ভালো হয়েছে, সরবরাহও ভালো আছে। সর্বশ্রেষ্ঠ মজুদ, এখন প্রায় ১৯ লক্ষ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। আমাদের এখনও সংগ্রহ চলছে।'
এতো উৎপাদনের পর দাম না কমার বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আপনি এর থেকে যদি কমের কথা বলেন, তাহলে কৃষকদের কাছ থেকে ৭০০ টাকা মণ ধান কিনতে হবে। মারা পড়বে কৃষক, তখন ধান চালই পাওয়া যাবে না। আমরা যে ধানের দাম নির্ধারণ করেছি, এর থেকে বেশি ধামে কৃষক বাজারে ধান বিক্রি করছে। ন্যায্যমূল্যের ওপরে দাম পাচ্ছে। একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, আমরা খাদ্য মন্ত্রণালয় ধান কিনি একটা কারণে, যাতে সিন্ডিকেট করে কৃষকদের না ঠকায়। আমাদের কাছে না আসুক, বাজারে বেশি মূল্য পাক, দ্যাটস এনাফ।
বাংলাদেশকে বৈশ্বিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে মন্তব্য করে সাধন চন্দ্র বলেন, চালের দাম যাদের জন্য অসহনীয় পর্যায়ে, তাদের জন্য ওএমএস, খাদ্যবান্ধব ভিজিডি, ভিজিএফ ইত্যাদি আছে। শঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, সবাই ভালো আছে।
মন্ত্রী বলেন, বাঙালির পেট ঠাণ্ডা, মাথাও ঠাণ্ডা আছে। অপচয় বন্ধ করতে হবে, বিয়ে বাড়িতে দেখা যায় যে ১০-১৫ শতাংশ খাবার অপচয় হচ্ছে।
সরিষা থেকে এবার ৩০ শতাংশ ভোজ্যতেল সংগ্রহ করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বিইউ/এমআর