images

কৃষি ও পরিবেশ

জলবায়ু পরিবর্তন সভ্যতার অস্তিত্ব হুমকিতে ফেলেছে: পরিবেশমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

০২ নভেম্বর ২০২২, ০৯:১৭ পিএম

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমান পৃথিবীর সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ। এটি মানব সভ্যতার অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

বুধবার (২ নভেম্বর) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বলেন তিনি।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বৈশ্বিক পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে খুব দ্রুত ও ব্যাপক পদক্ষেপ না নিলে আগামী দশকের মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, শিল্প-বিপ্লব সময়ের পূর্বের তুলনায় এক দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছড়িয়ে যাবে। যা ২১০০ সাল নাগাদ ৩.৩ থেকে ৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে। এর ফলে দিন দিন আবহাওয়া আরও বিপজ্জনক আচরণ করবে, সামুদ্রিক ঝড় বেশি হবে এবং জলোচ্ছ্বাস বাড়বে।

একই সময় ওয়ার্কার্স পার্টির বেগম লুৎফুন নেসা খানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, শব্দদূষণ পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি মারাত্মক সমস্যা। তাই শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকাকে নীরব এলাকা, আবাসিক এলাকা, মিশ্র এলাকা, বাণিজ্যিক এলাকা এবং শিল্প এলাকা- এই পাঁচ শ্রেণিতে ভাগ করে শব্দের মান-মাত্রা নির্ধারণ করেন দেওয়া হয়েছে।

Parliamentএকইভাবে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ অনুযায়ী শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ জারি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, শব্দদূষণ ও এর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে মানুষ হরহামেশাই দূষণকারী উচ্চশব্দ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। এ জন্য ৬৪ জেলায় দুই হাজার অংশীজনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করাসহ শব্দমাত্রা রেকর্ড সংক্রান্ত জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

পরে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী জানান, পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিবেশগত মান উন্নয়ন ও পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রশমনে গৃহস্থালি বর্জ্য ও প্ল্যাস্টিক বর্জ্যের সুষ্ঠু ও স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থাপনার নিমিত্তে সরকার বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১ প্রণয়ন করেছে। এই বিধিমালায় পরিবেশ বিনষ্টকারী পলিথিনের উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রম এবং ব্যবহার বন্ধে স্থানীয় সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আইন অনুযায়ী ক্ষেত্রবিশেষে বিভিন্ন গুরুত্বের পলিথিনের উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রম এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই পণ্যের উৎপাদন ও বিপণনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

টিএ/আইএইচ