images

কৃষি ও পরিবেশ

ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিল গভীর নিম্নচাপ, ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ অক্টোবর ২০২২, ০৮:৫৬ পিএম

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে রূপ নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় উপকূলীয় এলাকায় ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

রোববার (২৩ অক্টোবর) রাতে এই তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এর আগে সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতরের উপপরিচালক কাউসার পারভীন ঢাকা মেইলকে জানিয়েছিলেন, সিত্রাংয়ের একটি অংশ ভেঙে গেছে। ফলে ক্রমাগত শক্তি সঞ্চয় করতে পারছে না ঝড়টি। যে গতিতে ও শক্তি নিয়ে সিত্রাং উপকূলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল, সে শক্তি অনেকটাই কমে যাবে।

sea

এ বিষয়ে এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও সামান্য উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে পরিণত হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। তবে ক্রমেই এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।

এ ব্যাপারে ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক ঢাকা মেইলকে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। ফলে ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা/ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।

Cycloneএই আবহাওয়াবিদ আরও জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

টিএই/আইএইচ