নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪ মে ২০২৪, ১১:৪৩ এএম
বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টি হওয়া সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। শুক্রবার (২৪ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক শামীম হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দরে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখতে বলা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে সাগরে মাছ ধরার নৌকাগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি চলে আসতে বলা হয়েছে। কারণ নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ না নিলেও সাগর উত্তাল রয়েছে।
শামীম হাসান বলেন, যদি নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় তাহলে এটি বাংলাদেশের সুন্দরবন, খুলনা এবং তৎসংলগ্ন কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ অঞ্চল দিয়ে ঝড়টি অতিক্রম করতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে— ২৬ মে ঝড়টি হতে পারে। তবে এখনও এটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের সামুদ্রিক সতর্কবার্তার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিম্নচাপটি আজ শুক্রবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর (আইএমডি) বলছে— ১২০ কিলোমিটার গতিতে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি আগামী ২৫ মে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যায় রেমাল নাম নিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। ওই সময় ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার।
এইউ