images

কৃষি ও পরিবেশ

চলতি বছরের তাপপ্রবাহ তীব্র হওয়ার আশঙ্কা কেন, করণীয় কী?

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৪ পিএম

আবহাওয়া অধিদফতরের কয়েকদিনের পূর্বাভাস বিশ্লেষণে দেখা যায়— দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে এখন স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত তাপমাত্রা বিরাজ করছে। 

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ ইত্যাদি রাজ্যের অবস্থান বাংলাদেশের ওই সব অঞ্চলের কাছাকাছি হওয়ায় সেখানকার তাপমাত্রা বেশি। এর কারণ ভারতের এসব প্রদেশের তাপমাত্রা অনেক বেশি। এসব প্রদেশে বছরের এই সময়ে তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝে ওঠানামা করে।

আবহাওয়াবিদের একজন ড. মল্লিক। তিনি বলেন, যে গত বছর ভারতের ওইসব অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেহেতু ওগুলো উত্তপ্ত অঞ্চল, তাই ওখানকার গরম বাতাস চুয়াডাঙ্গা, যশোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী হয়ে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং তা আমাদের তাপমাত্রাকে গরম করে দেয়।

তিনি মনে করেন— এই আন্তঃমহাদেশীয় বাতাসের চলাচল ও স্থানীয় পর্যায়েও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে দেশব্যাপী চলতি বছর তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি থাকতে পারে। 

তিনি বলেন, বিগত বছরের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে এটা প্রতীয়মান হচ্ছে যে ২০২৪ সাল উত্তপ্ত বছর হিসেবে যাবে। আমরা এ বছর তাপপ্রবাহের দিন এবং হার বেশি পেতে যাচ্ছি।

ড. মল্লিক বলেন, তাপপ্রবাহের কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। দেশের তাপমাত্রার ঊর্ধ্বগতিতে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ছোঁয়া লেগেছে। 

আরও পড়ুন
তাপপ্রবাহ কবে কমতে পারে জানাল আবহাওয়া অফিস

তাপপ্রবাহে সতর্কতা
বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, জার্মান রেড ক্রস এবং বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর যৌথভাবে ২০২১ সালে একটি গবেষণা পরিচালনা করে, যার ফলাফলে দেখা গেছে ঢাকায় হিটওয়েভ বা তাপপ্রবাহের প্রবণতা বেড়েই চলেছে। ফলে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়াসহ নানা ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে বয়স্ক মানুষ, শিশু, গর্ভবতী, খেলোয়াড় এবং যারা বাইরে কায়িক পরিশ্রমের পেশার সাথে জড়িত তারা সব চাইতে বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকেন তাপপ্রবাহের সময়।

সরাসরি সূর্যের নিচে যাদের কাজ করতে হয় তাদের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তাই তাপপ্রবাহের সময় যেসব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে:

  • বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সময় যখন তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে সেই সময়টাতে বাইরের কাজ কমিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে।
  • ঘরের ভেতরে বা ছায়া আছে এমন জায়গায় থাকার চেষ্টা করতে হবে।
  • প্রচুর পানি এবং তরল পানীয়, যেমন: শরবত, ডাব, ফলের রস পান করতে হবে।
  • যতবার সম্ভব গোসল করুন।
  • বারবার মুখ ও শরীরে পানির ঝাপটা দিন।
  • যথেষ্ট বিশ্রাম নিতে হবে।
  • ঢিলেঢালা এবং বাতাস পরিবহনকারী পোশাক পরুন।
  • ঘরের বাইরে সানগ্লাস ব্যবহার করুন।

এইউ