ফিচার ডেস্ক
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৭ এএম
কালো ধান বা বেগুনি চাষ হচ্ছে বাংলাদেশে। যা রীতিমতো আলোচনা তৈরি করেছে। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ধান বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটানসহ এশিয়ার অনেক দেশেই চাষ হয়। কালো ধানের সফলতার পর এবার চাষ শুরু হয়েছে কালো গমের। প্রতিবেশি দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা এই গাম চাষ করছেন।
কালো ধান ও গমের ফসলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্থোসায়ানিন থাকে। এটি ব্লাড সুগার, ব্লাড প্রেসার, হার্ট অ্যাটাক, ক্যানসার, মানসিক চাপ, ব্যথা এবং রক্তশূন্যতার মতো রোগের জন্য খুবই কার্যকর।

বিহারে সম্প্রতি কৃষকদের মধ্যে নানা পরীক্ষামূলক চাষের প্রবণতা বাড়ছে। ওখানকার কৃষকরা বিভিন্ন জাতের ফসল চাষ করে ভাল মুনাফা অর্জন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবার কালো ধানের পর কালো গমের চাষও করেছেন বাঁকা জেলার কৃষকরা। কালো ধানের পাশাপাশি কালো গমের চাষ করলে দ্বিগুণ লাভ পাওয়া যায় বলে মনে করছেন চাষিরা।
বাঁকা জেলার অমরপুরের কৃষক সঞ্জীব কুমার চাষ করেছেন এই কালো গম।
তিনি জানান, ২০২০ সাল থেকে তিনি কালো গমের চাষ করছেন। প্রথমবারের মতো, এর বীজ পটনা থেকে আনা হয়েছিল এবং একটি ছোট এলাকায় পরীক্ষা হিসাবে চাষ শুরু করেন তিনি। এখন কালো গম ছাড়াও তিনি ৫ একর জমিতে কালো ধানও চাষ করছেন। কালো গম সাধারণত সাধারণ গমের মতোই হয় তবে এটির রঙ কালো।

এতে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্থোসায়ানিন পিগমেন্ট থাকায় এর রঙ কালো হয়। এতে সাধারণ গমের তুলনায় ১৪০ পিপিএম পর্যন্ত অ্যান্থোসায়ানিন পিগমেন্ট পাওয়া যায়, অন্য দিকে সাধারণ গমে মাত্র ১৫ পিপিএম পর্যন্ত পাওয়া যায়। কালো গমের হজম ক্ষমতা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। এটি আমাদের পরিপাকতন্ত্রের জন্য খুবই কার্যকরী।
কালো গম প্রতি কুইন্টাল ১০ থেকে ১২ হাজার রুপিতে বিক্রি হয় বলে কৃষক সঞ্জীব কুমার জানান।
কালো গম সাধারণ গমের মতোই বোনা হয় এবং তিনবার সেচ দেওয়া হয়। এটি রাসায়নিক সার দ্বারা প্রস্তুত করা হয়।

তিনি জানান, সাধারণ গমের দাম প্রতি কুইন্টাল ১৮০০ রুপি, সেখানে কালো গমের দাম কুইন্টাল প্রতি ১০ থেকে ১২ হাজার রুপি।
তিনি আরও জানান যে, কালো গম বিক্রি হয় ১৫০ রুপি প্রতি কেজি। কালো গম ও ধান চাষ করে তাঁদের মতো চাষিরা এখন বছরে পাঁচ লাখষ রুপি বেশি আয় করেন।
সূত্র: নিউজ ১৮ বাংলা
এজেড