রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

তিন কারণে কনকনে শীত

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:১২ পিএম

শেয়ার করুন:

তিন কারণে কনকনে শীত
ফাইল ছবি

উত্তরাঞ্চলসহ দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। তীব্র শীতে কাঁপছে মানুষ। স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে। কনকনে শীতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ।

হঠাৎ করেই কেন এত তীব্র শীত, এ বিষয়ে বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা মেইলের সঙ্গে কথা হয় আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হকের। তীব্র শীতের কয়েকটি কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রথমত বর্তমানে যে তাপমাত্রা এটা স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি আছে। তবে এই সময় যে শৈত্যপ্রবাহ সেটা কিন্তু থাকেই।


বিজ্ঞাপন


তিনি আরও বলেন, সাধরণত জানুয়ারি মাসে দিনের তুলনায় রাতের দৈর্ঘ্যটা বেশি থাকে। যে কারণে দিনে সূর্যের আলো কম সময় পাওয়া যায়। শৈত্যপ্রবাহ একটা স্কেল আকারে আসে। এই স্কেলে আমরা প্রথম শৈত্যপ্রবাহের কথা উল্লেখ করেছি। এখন পর্যন্ত তিনটা জেলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এরমধ্যে সর্বনিম্ন যে তাপমাত্রা সেটা ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আরও পড়ুন

তেঁতুলিয়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড

আরেকটা বিষয় হচ্ছে দিনের যে তাপামাত্রা সেটা কিন্তু কুয়াশার কারণে একটু কম আছে। এর ফলে দিনের অল্প তাপমাত্রার মধ্য দিয়ে কিন্তু মানুষের দীর্ঘ একটা সময় অবস্থান করতে হচ্ছে। এ জন্য দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এভারেজ ১৮-২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে অবস্থান করছে। দিনের এই তাপমাত্রায় মানুষ বড় একটা সময় থাকার পরে শেষ রাতে গিয়ে সেটা ১১ বা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে চলে আসছে। কোথায় কোথাও ৮ বা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে চলে আসছে। এর ফলে মানুষের মধ্যে শীতের অনুভূতিটা বেশি হচ্ছে। আবার কুয়াশা যদি কেটে যায় তাহলে সকাল ৯টার মধ্যে সূর্যের আলোর দেখা মিলবে, তখন শীতের অনুভূতিটা কম লাগবে।

তিনি আরও জানান, আজকে অথবা কালকে এই শীতের তীব্রতা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। মোটামুটি ৫ তারিখ বৃদ্ধি পেতে পারে। ৬,৭ ও ৮ তারিখে কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ার পরে আবারও কিছুটা নামতে পারে।


বিজ্ঞাপন


টিএই/এমএইচএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর