শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

তারুণ্যের উৎসবে মহিলা পরিষদের ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০ মে ২০২৩, ১০:২২ পিএম

শেয়ার করুন:

তারুণ্যের উৎসবে মহিলা পরিষদের ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

‘কুসংস্কার বৈষম্যের চাই পরিত্রাণ, গাই মানবতার গান’ স্লোগানকে সামনে রেখে নানা আয়োজনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

শনিবার (২০ মে) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নন্দন মঞ্চে ‘তারুণ্যের উৎসব’ শিরোনামে মহিলা পরিষেদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।


বিজ্ঞাপন


এতে তরুণ প্রজন্মের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন তাদের নিজস্ব পরিবেশনা নিয়ে অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলো নাটিকা, কবিতা আবৃত্তি, মাইম শো, সঙ্গীত পরিবেশন করেন। অংশগ্রহণকারী সংগঠনসমূহ হলো, বহ্নিশিখা, স্পর্শ, নৃত্যনন্দন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ, বহ্নিশিখা গ্রীন ভয়েস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যসংসদ, ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদ এবং ক্রিমিনোলজি বিভাগ, ঢাকা  বিশ্ববিদ্যালয়। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী ও মিডিয়াব্যক্তিত্ব নবনীতা চৌধুরী।

সংগঠনের ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকের তারুণ্যের উৎসবকে সামনে রেখে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘দেবে আর নেবে, মেলাবে মিলিবে’- আজকের নারী আন্দোলন এ দেশের তরুণপ্রজন্মের সামাজিক-সাস্কৃতিক আন্দোলনের সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। নারীর মানবাধিকার আন্দোলন যা কিনা মানবতার আন্দোলনেরই অংশ বলেও জানান তিনি।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ৫৩ বছরের সংগ্রামের অর্জন উদযাপন করছে এ দেশের তরুণ সমাজ। যে কুসংস্কার বৈষম্যকে বাড়িয়ে দেয়, মানবতাকে পদদলিত করে- সেই কুসংস্কার থেকে আমাদের মুক্ত হতে হবে। আজকের তরুণরা আগামী দিনের করণীয় নির্ধারণ করবে। দেশ ও সমাজের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বিকশিত করে মানবিক সমাজ গঠন করবে।

অন্য আলোচকরা বলেন, এই আন্দোলন শুধু নারীর জন্য আন্দোলন নয়, এটি সার্বিকভাবে সমাজের ও রাষ্ট্রের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক-অর্থনৈতিক অগ্রগতির আন্দোলন। তাই নারী আন্দোলনকে একটি সামাজিক শক্তি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সকল শক্তি, বিশেষ করে তারুণ্যের শক্তিকে এগিয়ে আসতে হবে। সম্মিলন ঘটাতে হবে নবীন ও প্রবীণ প্রজন্মের মনন ও কর্মের- আজকের তারুণ্যের উৎসব আয়োজনের আকাঙ্ক্ষাও তাই।


বিজ্ঞাপন


তারুণ্যের এই উৎসবকে বাংলাদেশের নারীর অধিকার আদায়ের অন্যতম পথরেখা-নির্মাতা ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী দিপালী সংঘের প্রতিষ্ঠাতা লীলা রায়ের প্রতি উৎসর্গ করা হয়। এ বছর মানবমুক্তি ও নারীমুক্তির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত ‘দিপালী সংঘ’র প্রতিষ্ঠা-শতবার্ষিকী। অনুষ্ঠানে লীলা রায়ের জীবনী পাঠ করেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নেতরা, ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন পাড়া শাখার কর্মী-সদস্য, সাংবাদিক ও তরুণপ্রজন্মের প্রতিনিধিসহ পাঁচ শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের গবেষণা কর্মকর্তা আফরুজা আরমান।

উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালের ৪ এপ্রিল কবি সুফিয়া কামালের নেতৃত্বে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে অর্ধ শতাব্দীকাল ধরে নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করে আসছে। সংগঠনটির জন্ম হয়েছিল নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও নারী-পুরুষের সমতাপূর্ণ রাষ্ট্র ও সমাজ নির্মাণের প্রত্যয় নিয়ে।

এমএইচ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর