চলতি বছরের এপ্রিলে মোট ২৩৩ জন নারী ও কন্যা শিশু ধর্ষণ, গণধর্ষণ, হত্যাসহ নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এরমধ্যে ১২০ জন নারী ও ১১৩ জন কন্যাশিশু রয়েছে।
রোববার (৩০ এপ্রিল) মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ বিশ্লেষণ করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে মোট ২৩৩ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১০ জন কন্যাসহ ৪৬ জন। যারমধ্যে ৩ জন কন্যাসহ ৯ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। আর ৩ জন কন্যা শিশুসহ ৪ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন ৯ জন কন্যা শিশুসহ মোট ১২ জন।
নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে এতে বলা হয়, উল্লেখিত সময়ে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ৪ কন্যাসহ মোট ৮ জন। পাশাপাশি উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছে ৯ জন নারী ও কন্যা শিশু। এরমধ্যে উত্ত্যক্ত করার কারণে আত্মহত্যা করেছে ১ জন কন্যা শিশু। তবে এসময় কোনো নারী ও কন্যা পাচারের ঘটনা ঘটেনি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এপ্রিলে এসিড নিক্ষেপের শিকার হয়ে মারা গেছেন একজন নারী। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৪ জন। এর মধ্যে ১ জন কন্যা শিশু ও ৩ জন নারী রয়েছেন। আর যৌতুকের কারণে হত্যা হয়েছেন ১ জন কন্যা শিশুসহ মোট ৫ জন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার ১৭ জন। যার মধ্যে ৬ কন্যা শিশু রয়েছে। এ সময় ১ গৃহকর্মীর নির্যাতন ও ২ জন হত্যাকণ্ডের শিকার হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
মহিলা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে বিভিন্ন কারণে ৩ জন কন্যাসহ ৩৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে। ৮ জন কন্যাসহ ২১ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আর ৫ জন কন্যাসহ ১৮ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। যারমধ্যে ১ জন নারী আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছেন। আর ১৪ জন কন্যাসহ ১৬ জনকে অপহরণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, শুধুমাত্র এপ্রিল মাসে ১ জন কন্যা সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে। এ সময় বাল্য বিবাহের চেষ্টা হয়ে ১টি। বাল্যবিবাহ হয়েছে ৩টি। ফতোয়ার শিকার হয়েছেন ১ জন নারী। এছাড়াও ১১ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। যার মধ্যে ৮ জন নারী ও ৩ জন কন্যা শিশু রয়েছে।
এমএইচ/এএস
