শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

নারী ইউএনওকে কাদের সিদ্দিকীর বাধায় মহিলা পরিষদের ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:১৮ পিএম

শেয়ার করুন:

নারী ইউএনওকে কাদের সিদ্দিকীর বাধায় মহিলা পরিষদের ক্ষোভ

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পর নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গার্ড অব অনার দেওয়ায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কাদের সিদ্দিকীর দ্বারা এ ধরনের ঘটনা ঘটায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশে মহিলা পরিষদ।

রোববার (৩০ এপ্রিল) মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


এতে বলা হয়, আমরা তীব্র ক্ষোভের সাথে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে লক্ষ্য করলাম যে, টাঙ্গাইলের সখিপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ খানের মৃত্যুতে নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা (গার্ড অব অনার) প্রদানে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বাধা প্রদান করেন। একই সাথে তিনি একজন পুরুষ কর্মকর্তাকে গার্ড অব অনার দেওয়ার প্রস্তাব করেন। 

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ একজন প্রবীণ রাজনৈতিক নেতার এ ধরনে অগ্রহণযোগ্য, সংবিধান পরিপন্থী, নারীর মানবাধিকার পরিপন্থী বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানাচ্ছে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, একজন রাজনৈতিক নেতার এই ধরনের আচরণ নারীর জন্য যেমন অবমাননাকর ঠিক একইভাবে একজন মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও জাতির জন্যেও অপমানজনক। কেননা, একটি স্বাধীন সার্বভৌম নারী-পুরুষের সমতাপূর্ণ প্রগতিশীল সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের জন্যই মুক্তিযোদ্ধারা তাদের জীবন বাজি রেখেই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

বাংলাদেশে নারী ইউএনও বলে কোনো পদ নেই। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার মাধ্যমে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। সেখানে নারী পুরুষ বিভাজন সংবিধান বিরোধী। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে পদাধিকারবলে যাদের উপর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গার্ড অব অনার দেওয়ার মহান দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে, তারা সেই রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করবেন এটাই প্রত্যাশিত।


বিজ্ঞাপন


বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এর আগে ২০২১ সালের ১৩ জুন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংশোধীয় স্থায়ী কমিটিও নারীকে অবদমিত করার কূটকৌশল হিসেবে এই ধরনের প্রস্তাব করেছিল। যা পরবর্তীতে নারী ও মানবাধিকার আন্দোলনের তীব্র প্রতিবাদের মুখে বাতিল করা হয়।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারীর ক্ষমতায়নকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে এই ধরনের যেকোন কূটকৌশল ও ধর্মীয় মৌলবাদী বিভিন্ন অজুহাতকে প্রতিহত করার জন্য সরকার, প্রশাসন, রাজনৈতিকদলসহ সকলের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছে। একইসঙ্গে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে এই বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাচ্ছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এমএইচ/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর