বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

এমআর ও এমআরএম সেবা না নেওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে নারীদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:০৩ এএম

শেয়ার করুন:

এমআর ও এমআরএম সেবা না নেওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে নারীদের

নিয়মতান্ত্রিকভাবে ওষুধ সেবন, সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে মাসিক নিয়মিতকরণের জন্য এমআর এবং এমআরএম করতে গিয়ে নারীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। এজন্য সরকারি স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর অবহেলা ও ওষুধ প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে ওষুধ বিক্রেতা ও বিক্রয় কর্মীদের এ বিষয়ে দিকনির্দশনা না দেওয়ায় এই সেবা নিতে গিয়ে ঝুঁকি বাড়ছে নারীদের।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সাত মসজিদ রোডে নারীপক্ষ কার্যালয়ে ‘নিরাপদ মাসিক নিয়মিতকরণ অধিকারের দাবিতে এশিয়া মহাদেশে কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপন প্রকল্প’শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


সভায় মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন নারীপক্ষের সদস্য এমআর এবং এমআরএম বিষয়ক প্রকল্পের সমন্বয়ক সানিয়া আফরিন।

মাসিক নিয়মিতকরণ (এমআর) এবং ওষুধের সাহায্যে মাসিক নিয়মিতকরণ (এমআরএম) সেবার প্রতুলতা ও সেবা পাওয়া নারীদের মূল্যায়ন বিষয়ে জরিপ করে নারীপক্ষ।

২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত তিন জেলার পাঁচটি উপজেলা ও ৩৮টি ইউনিয়নসহ মোট ৪৬টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান থেকে এমআর সেবা প্রদান বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করে।

জরিপের ফলাফল জানিয়ে সানিয়া আফরিন বলেন, দুটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ২৯টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রসহ মোট ৩১টি প্রতিষ্ঠানে এমআর সেবা প্রদান করা হচ্ছে না।


বিজ্ঞাপন


তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ১৭টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রসহ মোট ২০টি প্রতিষ্ঠানে এমআর ও এমআরএম সেবা প্রদান করা হয়। তিনটি মা ও শিশু কেন্দ্রে এমআরএম সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ৪৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৮ জন বলেছেন এমআর বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি না থাকায় তারা সেবা দিতে পারছেন না। অন্যদিকে ১৮ জন বলছেন, ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি (ভালো লাগে না) এবং ধর্মীয় বিধি নিষেধ আছে তাই এই সেবা দেন না। এছাড়া এমআরেএম ওষুধ অনেক বেশি সহজলভ্য তাই নারীরা এম আর করতে আসে না।

সুবিধাগুলো না পাওয়ায় বরিশাল, বরগুনা ও কুষ্টিয়া জেলায় ২০২০ সালে ৮৬ জন, ২০২১ সালে ৯৬ জন আর ২০২২ সালে অক্টোবর পর্যন্ত ৭৮ জন নারী পড়ছেন মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে।

ধর্মীয় গোড়ামি প্রসঙ্গে সানিয়া আফরিন বলেন, সেবাদানকারীরা নারীদের সঙ্গে নেতিবাচক আচরণ করে। হজ করে এসেছি, এটা গুনাহের কাজ, এটা করলে স্কুল কলেজেরে মেয়েরা অবাধ যৌনাচারে আকৃষ্ট হবে- এমন অজুহাত দেন। কিন্তু জনগণের ট্যাক্সের টাকায় তাদের বেতন হয়, সেবা না দেওয়ায় প্রসূতি মৃত্যুর হার ও ঝুঁকি বেশি। এর ফলে জরায়ু ইনফেকশন, অনিয়মিত মাসিক ও আনসেইফ অ্যাবরশনের মতো ঘটনা ঘটছে।

বিইউ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর