বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

এক বছরে নির্যাতনের শিকার ৩৪৯৫ নারী ও কন্যা শিশু

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:৩৮ পিএম

শেয়ার করুন:

এক বছরে নির্যাতনের শিকার ৩৪৯৫ নারী ও কন্যা শিশু
ফাইল ছবি

একবছরে তিন হাজার ৪৯৫ জন নারী ও কন্যা শিশু ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এর মধ্যে এক হাজার ৮৭৬ জন নারী এবং এক হাজার ৬১৯ কন্যা শিশু রয়েছেন।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি জতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ বিশ্লেষণ করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


রোববার (১ জানুয়ারি) মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ৷ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেলে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট তিন হাজার ৪৯৫ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬৭২ জন কন্যা ও ৩১৫ জন নারী। তার মধ্যে ১২১ জন কন্যাসহ ২২৬ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের এসব ঘটনায় ২৩ জন কন্যাসহ ৩৮ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। ধর্ষণের কারণে সাত জন কন্যাসহ আটজন আত্মহত্যা করেছে। এছাড়াও ৯৪ জন কন্যাসহ ১৪০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।

নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, এসময়ের মধ্যে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ১৬৩ জন। এর মধ্যে ১২২ জন কন্যা শিশু। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ১২৫ জন এর মধ্যে ১০৪ জন কন্যা। উত্ত্যক্তকরণের কারণে মোট সাতজন আত্মহত্যা করেছেন। নারী ও কন্যা পাচারের ঘটনা ঘটেছে ১০৮ জনের সাথে। যাদের মধ্যে কন্যাশিশু ২৮ জন। এসিডদগ্ধের ঘটনা ঘটেছে ২২ জনের সাথে। আর ২৫ জনের অগ্নিদগ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১২ জনের অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে তিনজন কন্যা শিশু রয়েছে।

এছাড়া যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৬৫ জন, এরমধ্যে ৬৫ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন কন্যাশিশু। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে মোট ২১৯ জন। পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২১ জন। মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে একজন। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে একজন। ১৩ জন গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে এর মধ্যে পাঁচ জন গৃহকর্মীর হত্যার ঘটনা ঘটেছে এবং দুজন আত্মহত্যা করেছে।


বিজ্ঞাপন


প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিভিন্ন কারণে ৯২ জন কন্যাসহ ৫০৭ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ৫২ জনকে এর মধ্যে কন্যাশিশু ছিল ১২ জন। ৬৯ জন কন্যাসহ ৩১০ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ৮২ জন কন্যাসহ ২৩৯ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে, এরমধ্যে ১৬ জন কন্যাসহ ৩৭ জন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে।

এছাড়াও আত্মহত্যার চেষ্টার করেছেন পাঁচজন নারী ও কন্যাশিশু। পিতৃত্বের দাবির ঘটনা ঘটেছে একটি। ১০৯ জন কন্যাসহ ১২৭ জন অপহরণের শিকার হয়েছে এবং নারী ও কন্যাসহ সাতজন অপহরণের চেষ্টার শিকার হয়েছে।  ফতোয়া ঘটনার শিকার হয়েছে নয়জন। দুইজনকে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে। জোরপূর্বক বিয়ের ঘটনা ঘটেছে দুটি। পুলিশি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে পাঁচটি। সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে ৫৭ জন। বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে ২৭টি।

এ সময়ের মধ্যে ৬১টি বাল্যবিবাহের ঘটনা প্রতিরোধ করা হয়েছে। এছাড়া ৩১ জন কন্যাসহ ৯৪ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

এমএইচ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর