শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

অভিবাসী নারীদের সংবাদ প্রকাশে শব্দ চয়নে সতর্ক হওয়ার আহ্বান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০২২, ০৪:৪২ পিএম

শেয়ার করুন:

অভিবাসী নারীদের সংবাদ প্রকাশে শব্দ চয়নে সতর্ক হওয়ার আহ্বান

বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর নানা দেশে প্রতি বছর নারী কর্মীরা যাচ্ছেন। তারা সেখানে বহুমুখী কাজে যোগদানও করছেন। কিন্তু এর মধ্যে কিছুসংখ্যক নানা সমস্যায় পড়ে থাকেন। পরে এসব নিয়ে সংবাদমাধ্যমে নেতিবাচক সংবাদ প্রচারিত হয়। ফলে বিদেশ যাওয়ার সাহস ও আস্থা অনেকে হারিয়ে ফেলেন। এজন্য সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে আরও দায়িত্বশীল ও যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আলোচনা সভার বক্তারা।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মানিক মিয়া মিলনায়তনে সেন্টার ফর উইমেন অ্যান্ড চিল্ডেন স্ট্যাডিস (সিডাব্লিউসিএস) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এই আহ্বান জানান।


বিজ্ঞাপন


এসময় নারী অভিবাসী কর্মীদের অধিকার বিষয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন সংগঠনটির আইনজীবী ফরিদা ইয়াসমিন। এছাড়াও স্বাগত বক্তব্য দেন সিডাব্লিউসিএস এর চেয়ারম্যান ইসরাত শামীম।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, প্রতি বছর দেশ থেকে বিদেশে নারী কর্মী পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু কখনও এই কর্মী পাঠানোর সংখ্যা বাড়ে আবার কমে। এছাড়াও প্রতি পদে পদে আছে দালালদের দৌরাত্ম। ফলে অভিবাসন ব্যয় বেড়ে যায়। বিদেশে কর্মী পাঠানো এজেন্সিগুলো যদি সরাসরি এসব নারীকে বিদেশে কর্মে পাঠাতেন তবে ভোগান্তি কমতো। অনেকে প্রতারিতও হতো না। এজন্য সরকার, মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের বিষয়টিগুলোতে নজর দিতে হবে। সেই সাথে এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে ইতিবাচক সংবাদ প্রচারের অনুরোধ করেন তারা।

সভায় আইসিএমপিডির কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ ইকরাম হোসাইন বলেন, আমাদের সংবাদমাধ্যমে শব্দ প্রয়োগে আরও যত্নবান হতে হবে। বিদেশে কোনো নারী কর্মী লাঞ্ছিত হয়েছে তা না লিখে আমরা লিখবো-তিনি ভালো ব্যবহার পাননি। নেতিবাচক শব্দগুলো ব্যবহার করলে ওই নারীর স্বামী ও ভাই পরে তাকে আর বিদেশে যেতে দেবে না। সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের সময় যেন কোনো নির্যাতিতা নারীর নাম ও ছবি ব্যবহার না করি। আমরা যেন ওই নারীর উপকার করতে গিয়ে তার সর্বনাশ না করে বসি। তিনি নারীদের বিদেশে পাঠানোর আগে তাদের দক্ষ করার জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করার জন্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধও করেন।

women


বিজ্ঞাপন


প্রবাসী নারীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন বিএনএসকে এর নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম বলেন, যেসব নারী বিদেশে নির্যাতনের শিকার হন, তারা সেখানে গিয়ে তেমন আইনি সহায়তা পান না। এজন্য তাদের সহায়তা দেওয়ার জন্য কোনো ধরনের আইনি কাঠামোও নেই। এছাড়াও নারীর বয়স নির্দিষ্ট করে দেওয়ায় বেশির ভাগ সময়েই নারীদের বেশি বয়স দেখিয়ে বিদেশে কর্মে যেতে হচ্ছে। এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নারীরা। কারণ তারা কম বয়সী হলেও বেশি বয়স দেখিয়ে যাওয়ায় পরে আর যেতে পারছেন না।

ওয়ারবি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক জেসিয়া খাতুন বলেন, প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রবাসী কর্মীদের সুবিধার্থে ‘আমি প্রবাসী নামে’একটি অ্যাপস খোলা হয়েছে। কিন্তু সেই অ্যাপটির ব্যাপারেই অনেক কর্মী জানে না। এছাড়াও এটি নিয়ে কোনো ধরনের প্রচারও নেই। পাশাপাশি ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডেরও পক্ষ থেকে একটি হটলাইন খোলা হয়েছে। সেটিরও ব্যাপারে অধিকাংশ প্রবাসী অজ্ঞ বলে অভিযোগ করেন তিনি। এজন্য তিনি অ্যাপস ও হটলাইন নাম্বারটির ব্যাপারে বেশি বেশি প্রচার প্রচারণার অনুরোধ করেন মন্ত্রণালয়কে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মহুয়া লিয়া ফালিয়া।

এমআইকে/জেবি 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর