শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

যে ১০ নারীর হাতে উঠল অনন্যা পুরস্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০২২, ০৮:৪২ এএম

শেয়ার করুন:

যে ১০ নারীর হাতে উঠল অনন্যা পুরস্কার

নারী বিষয়ক ম্যাগাজিন পাক্ষিক অনন্যা কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ‘অনন্যা শীর্ষদশ সম্মাননা-২০২১’ দিয়েছে। এবার অর্থনীতিবিদ, করপোরেট ব্যক্তিত্ব, মঞ্চাভিনেতা ও নির্দেশক, অদম্য সাহসী, বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ, আলোকচিত্রশিল্পী, মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষক, নারী উদ্যোক্তা ও প্রথম ফিফা রেফারি নারী পেলেন এই সম্মাননা। এছাড়া, বিশেষ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিশিষ্ট নারীকে দেওয়া হয়েছে আজীবন সম্মাননা। কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৩ সাল থেকে প্রতিবছর ১০ জন নারীকে সম্মাননা দিয়ে আসছে অনন্যা।

তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১৯ নভেম্বর) বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে ‘অনন্যা শীর্ষদশ সম্মাননা-২০২১’ দেওয়া হয়। পাক্ষিক অনন্যা ও দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সম্মাননাজয়ীদের একটি ক্রেস্ট, উত্তরীয় এবং সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। স্পিকার এসময় অনন্যা শীর্ষদশ জয়ী এই নারীদের অভিনন্দন জানান।


বিজ্ঞাপন


এ বছর ‘অনন্যা শীর্ষদশ’ সম্মাননা পেলেন— নাজনীন আহমেদ (অর্থনীতিবিদ), বিটপী দাশ চৌধুরী (করপোরেট ব্যক্তিত্ব), ত্রপা মজুমদার (মঞ্চাভিনেতা ও নির্দেশক), শাহিনুর আক্তার (অদম্য সাহসী), সালমা সুলতানা (বিজ্ঞানী), রুদমীলা নওশীন (প্রযুক্তিবিদ), শাহরিয়ার ফারজানা (আলোকচিত্রশিল্পী), সান্ত্বনা রানী রায় (মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষক), মোছা. ইছমত আরা (নারী উদ্যোক্তা) ও জয়া চাকমা (প্রথম ফিফা রেফারি)।

এই দশজন ছাড়াও আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন কারুশিল্পী সরত মালা চাকমা। রাঙ্গামাটির তবলছড়ির মাস্টার কলোনিতে ৯০ বছর আগে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। সাত বছর বয়সে তার কারুশিল্পে হাতেখড়ি হয়। সরত মালা সারা জীবনে দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১৬ সালে উইভার্স ফেস্টিভ্যালে তাকে বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। এখন তার একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি কম, তবুও অন্য ভালো চোখটি নিয়েই তিনি সেলাইয়ের কাজ করেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ‘অনন্যা শীর্ষদশ’ সম্মানিত করেছে ২৭০ জন কৃতি নারীকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ উল্লেখযোগ্য অনেকেই এই সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।

১০ নারীর প্রত্যেকের গল্পই অনুপ্রেরণাদায়ক। তাদের মধ্যে রয়েছেন ছেলেকে উদ্ধারে কুমিল্লার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে একাকী লিবিয়ায় ছুটে যাওয়া মা শাহিনুর আক্তার; শিশু মেয়েকে রেখে বিদেশে পড়তে যাওয়া জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশের প্রধান অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ। তিনি বলেন, লড়াই করেও এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। নারীরা যে যেখানেই আছেন, তারা যেন কখনো নারীকে অসম্মান করার বিষয়গুলোকে প্রশ্রয় না দেন।


বিজ্ঞাপন


সম্মাননা পাওয়া করপোরেট ব্যক্তিত্ব বিটপী দাশ চৌধুরী বলেন, বড় অবস্থানে থাকলেও নারী হওয়ার কারণে তার সিদ্ধান্তকে গ্রহণ না করার মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। নারীকে নারী হিসেবে না দেখে যোগ্য সহকর্মী হিসেবে দেখা উচিত।

সম্মাননা পাওয়া দেশে ও বিদেশে পুরস্কারপ্রাপ্ত মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষক সান্ত্বনা রানী রায় বলেন, পরিবার, কর্মক্ষেত্র—সব জায়গায় পদে পদে বাধার শিকার হয়েছিলেন তিনি।

অপর দিকে ফিফা রেফারি জয়া চাকমা বললেন, তৃতীয়বারের চেষ্টায় সফল হয়েছেন। এটা তাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।

অনুষ্ঠানের সম্মানিত নারীদের জীবনী নিয়ে লেখক-সাংবাদিক-নির্মাতা তাপস কুমার দত্তের নির্মাণে বিশেষ প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পুরস্কার দেওয়া শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন তরুণ কণ্ঠশিল্পী মাসা ইসলাম।

ডব্লিউএইচ/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর