মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

সাফল্য-সংগ্রামের গল্প শোনালেন পাঁচ নারী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮ মার্চ ২০২২, ১০:১৬ পিএম

শেয়ার করুন:

সাফল্য-সংগ্রামের গল্প শোনালেন পাঁচ নারী

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নিজ নিজ সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প শুনিয়েছেন জাতীয় পর্যায়ে সফল পাঁচজন নারী। তাঁরা হলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ট্রাস্ট ব্যাংকের সিইও হুমায়রা আজম, বিখ্যাত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শিমুল ইউসুফ, শেয়ারট্রিপের প্রতিষ্ঠাতা সাদিয়া হক, মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সার বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড স্বপ্না ভৌমিক।

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) রাতে রাজধানীর হোটেল র‍্যাডিসন ব্লুতে 'উইম্যান অফ এক্সিলেন্স' নামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।


বিজ্ঞাপন


অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এবং ঢাকায় নিযুক্ত রয়্যাল থাই দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতোমোর।

অনুষ্ঠানে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, মেয়েদের মধ্যে নেটওয়ার্কিং থাকতে হবে। আমি একটা ফেলোশিপ করেছিলাম। সেখানে এটাকে বলা হতো গেরিলা নেটওয়ার্কিং৷ অর্থাৎ মেয়েদের নিজেদের মধ্যে নেটওয়ার্কিং এবং সহায়তার মানসিকতা থাকতে হবে। আর এখন মিডিয়াতে  অনেক মেয়ে আসছে। টিভি মিডিয়া বাড়ার পর এই প্রবণতা আরও বেড়েছে। তারা ছেলেদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করছে৷ বাধাও আসে মাঝে মাঝে। আমাদের সমাজ তো পিতৃতান্ত্রিক। অনেক সময় কোথায় বাধা সেটা পরিষ্কার করে বোঝানোও মুশকিল।

আলোচনায় অংশ নিয়ে শিমুল ইউসুফ বলেন, আমরা যারা সাংস্কৃতিক ও থিয়েটার ইন্ডাস্ট্রি থেকে এসেছি, তারা শুধু দিতেই এসেছি৷ অন্যান্য দেশে থিয়েটারের জন্য আলাদা বরাদ্দ দেয় সরকার। আমাদের দেশে এমন কিছু নেই৷ সমাজের কথা বলতে গেলে প্রশ্ন আসে, আমাদের সমাজে কী নারী-পুরুষ সমতা আছে? আমি টিপ পরি কেন সেই প্রশ্নের উত্তর এখনো দিতে হয়। এ থেকেই বুঝে নেন অবস্থা।

স্বপ্না ভৌমিক বলেন, আমি যখন মার্কসের লোকাল অফিসে কাজ করি তখন সেখানে পুরুষ ছিলেন ২৫০ জন। তখন আমার সবচেয়ে বড় মোটিভেশন ছিল, বাংলাদেশকে মার্কসের সবচেয়ে বড় সোর্সিং দেশ হিসেবে দাঁড় করানো। আজ কিন্তু বাংলাদেশই মার্কস এন্ড স্পেন্সারের সবচেয়ে বড় সোর্সিং দেশ।


বিজ্ঞাপন


অনুষ্ঠানে হুমায়রা আজম বলেন, বায়াস অলরেডি ভেঙে গেছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার নারী। অনেক এমপিও নারী। ইতিবাচক পদক্ষেপের অভাব নেই৷  আমি ৩২ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে আছি। দেখেছি, নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি কাজ করেন। পুরুষরা চা খেতে, আড্ডা দিতে বাইরে যান কিন্তু নারীরা ১০০% সময় ডেস্কে থেকে কাজ করেন।

সাদিয়া হক বলেন, উদ্যোক্তা হওয়া কঠিন। তবে বড় স্বপ্ন দেখতে হবে। ছোটবেলায় আমাদের ওপর নানা লিমিটেশন চাপিয়ে দেওয়া হয়। সেসব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

এসএ/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর