নারীর প্রতি সহিংসতা শুধু নারীর সমস্যা নয়, এটি একটি সামাজিক সমস্যা, যার সমাধানে তাৎক্ষণিক ও ধারাবাহিক উদ্যোগ লাগবে। বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকারের বাজেট দ্বিগুণ বাড়নো প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) ‘নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ১৬ দিনের কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নারী উন্নয়ন শক্তির (এনইউএস) নির্বাহী পরিচালক ড. আফরোজা পারভীন এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিকভাবে প্রতি বছর ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর এই ক্যাম্পেইন পালিত হয়। এর উদ্দেশ্য নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সমষ্টিগত পদক্ষেপকে জোরদার করা।
নারী উন্নয়ন শক্তি আয়োজিত বৈশ্বিক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করে বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম (বিএসএএফ), ফোরাম ফর কালচার অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (এফসিএইচডি), এবং ইয়াং ওম্যান ফর ডেভেলপমেন্ট রাইটস অ্যান্ড ক্লাইমেট (ওয়াইডব্লিউডিআরসি)।
ড. আফরোজা পারভীন নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা দূর করতে কমিউনিটি, সরকারি সংস্থা এবং সিভিল সোসাইটির সমন্বিত প্রচেষ্টার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
এফসিএইচডির চেয়ারপারসন শাহিদা ওহাব তাঁর বক্তব্যে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সচেতনতা, শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়ন—এই তিনটি উপাদান একটি বৈষম্য ও সহিংসতামুক্ত সমাজ গঠনের জন্য অপরিহার্য।
বিএসএএফ-এর পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন সংস্থার সদস্য ড. সুলতান মোহাম্মদ রাজ্জাক। তিনি কিশোরী ও শিশু অধিকার সুরক্ষার সঙ্গে নারীর প্রতি সহিংসতার আন্তঃসম্পর্ক তুলে ধরে বলেন যে কিশোরী মেয়েদের ওপর সহিংসতা পরিবার ও সমাজে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বিজ্ঞাপন
ওয়াইডব্লিউডিআরসির প্রতিনিধিত্ব করে কর্মকর্তা সেলিনা খাতুন আলোচনা করেন সামাজিক ও জলবায়ুজনিত সংকটে তরুণ নারীদের ঝুঁকির বিষয়টি নিয়ে। তিনি নারীদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে যুবসমাজের অধিক সম্পৃক্ততা এবং জলবায়ু-সংবেদনশীল নীতিমালার দাবি জানান।
অনুষ্ঠানের শেষে একটি সমষ্টিগত অঙ্গীকার গ্রহণ করা হয়—একটি সহিংসতামুক্ত সমাজ গঠনে একযোগে কাজ করার। পরে বিভিন্ন ক্ষেত্রের অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আগামী ১৬ দিনব্যাপী এনইউএস ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
বিইউ/ক.ম

