ইউএনসিসিডি কপ১৬ সম্মেলনে অংশ নিয়ে টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনায় নারীর ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে বাংলাদেশ। এতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফাহরিনা আহমেদ বলেন, টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্য দীর্ঘমেয়াদে বজায় রাখতে নারীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সৌদি আরবে ‘জেন্ডার ককাস: হারল্যান্ড: টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনায় নারীর নেতৃত্ব’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের সংলাপ সেশনে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
সম্মেলনে তিনি বলেন, মরুকরণ প্রতিরোধ ও জলবায়ু সহনশীলতা গড়ে তুলতে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে উদ্ভাবনী নীতিমালা এবং তৃণমূল পর্যায়ের উদ্যোগের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ড. ফাহরিনা আহমেদ নীতি কাঠামো এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় লিঙ্গ-সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি অন্তর্ভুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনায় নারীর অংশগ্রহণ কেবল সমতাভিত্তিক উন্নয়ন নিশ্চিত করে না, বরং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কমিউনিটি-ভিত্তিক সমাধান তৈরিতেও সহায়তা করে। বাংলাদেশের ভৌগোলিক ঝুঁকি সত্ত্বেও ভূমি ব্যবস্থাপনায় অর্জিত সফলতার কথা তুলে ধরে।
তিনি আরও বলেন, বনভূমির পরিমাণ বৃদ্ধি এবং কমিউনিটি-নেতৃত্বাধীন প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ ভূমি পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়েছে। যার নেতৃত্বে অনেক ক্ষেত্রেই নারী রয়েছেন।
সচিব উল্লেখ করেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), বিশেষত এসডিজি ১৫-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সকল পর্যায়ে নারীর নেতৃত্ব শক্তিশালী করার বিষয়ে সরকার কৌশলগত মনোযোগ দিচ্ছে। ড. ফাহরিনা আরও বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে নারীদের নেতৃত্বে পরিচালিত কমিউনিটি-ভিত্তিক বন পুনরুদ্ধার প্রকল্পসমূহ শুধু স্থানীয় জীবিকাকে উন্নত করেনি, বরং পরিবেশের স্বাস্থ্যেরও উন্নয়ন ঘটিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এই সেশনে নীতি নির্ধারক, বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের কর্মীরা একত্রিত হয়ে ভূমি ক্ষয় ও মরুকরণ মোকাবিলায় নারীর নেতৃত্ব জোরদারের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।
এমএইচ/এএস