কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রাণহানির ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সকল হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করেছে। সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়েছে।
বুধবার (২৪ জুলাই) সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা গভীর দুঃখ ও উদ্বেগের সাথে প্রত্যক্ষ করেছি যে, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বহু মূল্যবান প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে এই আন্দোলন ক্রমেই সহিংসরূপ পরিগ্রহ করেছে এবং একইসঙ্গে বহু সাধারণ মানুষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, সাংবাদিকসহ অনেকে নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ অনাকাঙ্খিত এই সকল মৃত্যুর ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সকল হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করে।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি যে, মেট্রোরেল, সেতুভবন, ডাটা সেন্টার, এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজা, বিআরটিএ ভবনসহ বহু রাষ্ট্রীয় সম্পদের প্রভূত ক্ষতি সাধন করা হয়েছে। নরসিংদীতে কারাগার ভেঙে কয়েদীদের পালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে যার মধ্যে অনেক জঙ্গীগোষ্ঠীর সদস্য ছিল। এই সকল ঘটনায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গভীরভাবে মর্মাহত এবং উদ্বিগ্ন। আমরা রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টকারীদের যথাযথভাবে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
তারা বলেন, আমরা লক্ষ্য করলাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নারী কোটা বিলুপ্ত হয়ে গেছে, যা জাতীয় অগ্রযাত্রা ক্ষতিগ্রস্থ করবে। এ বিষয়ে ছাত্রসমাজ, নাগরিকসমাজ ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সকল অপতৎপরতা রোধ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে অগ্রসর করে নেওয়ার জন্য রাজনৈতিক দল, প্রশাসনসহ নাগরিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছে।
বিইউ/এএস
